স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুন, ২০১৮ ২১:৫০

রাত ১২টায় মাঠে নামছে স্পেন-পর্তুগাল

শুক্রবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও স্পেন। ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট দল। যদিও কোচ বদলের ঘটনায় কিছুটা টালমাটাল দলটি। অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের নেতৃত্বে মাঠে নামছে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। শিরোপা প্রত্যাশীদের তালিকায় নাম নেই পর্তুগিজদের। কিন্তু যে দলে রোনালদো আছেন সেই দলকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার উপায় নেই।

মাঠের বাইরের হিসাব-নিকাশ বাদ দিলে, স্পেন-পর্তুগাল সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের একেবারে সমান সমান। আর এমন অবস্থানে থেকেই বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হচ্ছে পর্তুগাল ও স্পেনের ম্যাচটি।

সর্বশেষ ২০ ম্যাচে অপরাজিত স্প্যানিশরা। এমনকি দলটি মাস দুয়েক আগে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার মত প্রতিপক্ষের জালে ৬ বার বল জড়িয়েছিল। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর মাত্র একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হেরেছে। এমন দুটি দলের পরস্পর মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত অর্থেই, বিশ্বকাপের শুরুটাকে উত্তেজনায় ভরিয়ে দেবে, সন্দেহ নেই।

স্পেন যখন কোচ নিয়ে এতটা টালমাটাল অবস্থায়, তখন পতুগাল দলে ভিন্ন চিত্র। ২০১৬ ইউরোর পর কোচের চাকরিতে আরও স্থায়িত্ব বেড়ে যায় ফার্নান্দো সান্তোসের। তার অধীনেই ইউরো জয়ের পর এখন পর্তুগিজরা রাশিয়ায় এসেছে বিশ্বজয়ের জন্য।

তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলের কোচের বিষয় নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে রাজি হননি পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তিনি আসলে হুলেন লোপেতেগুইয়ের বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে রাজি হননি। আইবেরিয়ান দুই দেশের মধ্যে এই লড়াইয়ে নিজের দলকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখার দিকেই সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিচ্ছেন সান্তোস। এটা যে বিশ্ব লড়াইয়! এখানে কোনো দলকেই ছাড়া দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সান্তোসের মূল্যায়ন, ‘স্পেন গত ১০ বছর ধরেই একই ধাঁচের ফুটবল খেলে। আমার কাছে তাদের কোচের বিষয়টা তাই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

বরং, পর্তুগিজ মিডফিল্ডার হোয়াও মোতিনহো তো বিষয়টাকে স্পেনের জন্যই ভালো হিসেবে দেখছেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘কোচের পদে পরিবর্তনটা স্পেনের জন্য আরও ভালো হতে পারে। এতে করে আরও বেশি উজ্জীবিত হয়ে উঠতে পারে স্প্যানিশরা। কোনো নেতিবাচক প্রভাব? আমি মনে করি না, তেমন কিছু হবে। বরং ইতিবাচক প্রভাবই পড়ার সম্ভাবনা বেশি।’

২০০৪ সালের পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে স্পেনকে হারাতে পারেনি পর্তুগাল। এই প্রথম রাশিয়ায় এসে ২০০৪ সালের আরও একটি জয় পাওয়ার অপেক্ষায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল। যদিও বিষয়টা খুব সহজ নয়। কারণ, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে লড়াই করতে হবে তার একদল সতীর্থের বিপক্ষে। সার্জিও রামোস, ইসকো, আসেনসিও, কার্ভাহালদের বিপক্ষে। দেখার বিষয়, কে জেতেন, রোনালদো না রামোসরা?

তবে, ভেতর এতবড় ঘটনা ঘটে গেলেও স্পেন চাইছে নিজেদের ভেতর ঐক্য অটুট রাখতে। অধিনায়ক রামোস ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। ডিফেন্ডার পিকে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাজিক দেখানোর অপেক্ষায়।’ কোচ ফার্নান্দো হিয়েরো বলেছেন, ‘স্পেন গত দুই বছর একই রকম খেলে আসছে। সুতরাং, মাত্র দু’দিনে নিজেদের বদলে ফেলার কোনো সুযোগ নেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত