সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৫ ০২:২২

সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি, প্রথম ম্যাচ হারের পর মাশরাফি

প্রথম ম্যাচ হেরে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এমনটা মানতে রাজি নন দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘যে যা ভাবুক, এই হারে আত্মবিশ্বাস কমবে না আমাদের। এ ফরম্যাটে আমরা এখনও বড় পর্যায়ের দল হইনি। পরের ম্যাচ সবাইকে আরও উপভোগ করতে বলব। অবশ্যই আমরা এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দু’ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ৫২ রানে হেরে। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই হারে হতাশার কিছু দেখছেন না টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। বাংলাদেশ প্রথম ছয় ওভারে ৪০-৪৫ রান করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করেছিল। কিন্তু প্রথমে উইকেট হারানোর কারণে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। সুবিধা নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মাশরাফি বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা যে ভুলগুলো করেছে সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তা করবে। শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে অন্য ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ বাড়ে। রানটাও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সেই সঙ্গে উইকেটও ধরে রাখতে হবে। এ সময়ে এটা খুব কঠিন। এখন চিন্তা করতে হবে এখান থেকে কীভাবে দ্রুত বের হওয়া যায়। ম্যাচে তারাও কিন্তু এমন অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু ওরা সেখান থেকে বের হয়ে আসে। আমারাও হয়তো পারব।’

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মিরপুরেই ১৪২ রান তাড়া করে সাত উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৯ রান তাড়া করা আয়ত্তে ছিল কিনা জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘বলা যায় ওদের ১০ রান বেশি হয়েছে। একটি জুটি হলে এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। দুই দলের স্পিনাররাই ভালো করেছে। ওরা আমাদের যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে আমরা সেভাবে করতে পারিনি।’

মাশরাফির বললেন- সুযোগ তৈরি হলে সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। একটা সময় আমাদেরও সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমরা নিজেরাই সেটা ধরে রাখতে পারিনি। আরেকটু হিসেবি হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারত।’

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হল কোথায়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলারদের বল বেশি টার্ন করে না। আমাদের বল একটু উঁচু-নিচু হয়। একটু স্লো হয়। ওদের বোলাররা আট ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছে। কিন্তু ১৫০ তাড়া করতে গেল বল যেমনই হোক না কেন, আমরা আরও একটু চেষ্টা করতে পারতাম।’

তবে একটা সময়ে দ্রুত রান তুলতে গিয়েই তাড়াহুড়া হয়েছে বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক। জানালেন, এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আউট করার জন্যই আরাফাত সানিকে প্রথমে আক্রমণে আনা হয়েছিল। একই চিন্তায় নাসিরকেও প্রথমে আনা। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত