নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ জুলাই, ২০১৫ ০১:৪১

জয়ের ধারায় ফিরতে চায় বাংলাদেশ, দ. আফ্রিকা চায় জয়ের ধারায় থাকতে

এক দল চায় জয়ের ধারায় থাকতে আর এক দল চায় জয়ের ধারায় ফিরতে। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দল প্রথম ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে সিরিজ না হারার, অপরদিকে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ হারার চোখ রাঙানি। এমন পরিস্থিতিতে দুই দলই জিততে চায় টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচ।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫২রানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। তবে প্রথম ম্যাচ সহজভাবে জিতলেও মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেনা তারা, এখনও বলছে বাংলাদেশ ‘সমীহ’ করার মতো দল। এদিকে সুযোগ পেয়েও প্রথম ম্যাচে জিততে না পারার আক্ষেপকে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদেরকে খুঁজে পাওয়ার মিশনে নেমেছে বাংলাদেশ দল।

হোটেল সোনারগাঁওতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন দলের ওপেনার সৌম্য সরকার। জানালেন- টপ অর্ডারের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। প্রথম তিন জনের কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারলে বাংলাদেশের জন্যে ম্যাচ সহজ হবে।

বাংলাদেশ দলের এ সামর্থ আছে, যার প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান-ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তা করে দেখিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।

এদিকে, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫২ রানের হারে টাইগার ভক্তদের হতাশ করলেও এখানেই শেষ দেখছেন না দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ‘আমাদের কেউ দমাতে পারবে না’ বলে সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন তিনি।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ধারায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী সাকিব তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু পথে বাধা তো থাকবেই। যতই বাধা থাকুক আমাদের কেউ দমাতে পারবে না। আমাদের স্থান ধরে রাখবোই, আমরা এগিয়ে যাবোই।

অন্যদিকে দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসার প্রতীক মুশফিকুর রহিম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে জয়ের ধারায় ফেরার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী। তিনি বলেছেন, এখনও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ছেলেরা ফিরে আসবেই, ইনশাল্লাহ্।

প্রথম ম্যাচে ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দলের কোন ব্যাটসম্যানই আশানুরূপ ব্যাটিং করতে পারেননি। উলটো দক্ষিণ আফ্রিকার সাদামাটা স্পিনেই ধরাশায়ী তারা।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই ব্যাটিং ব্যর্থতা শুধরে নেওয়ার প্রত্যয় করলেন ওপেনার সৌম্য সরকার, ‘প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে আমরা যতটা ভালো করেছি, সে অনুযায়ী ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। এটিকে ব্যর্থতা বলা যাবে না। আসলে ব্যাটিংয়ে আমরা সাকসেস হতে পারিনি।’

টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সাফল্যের হার খুব বেশি না। সে তুলনায় ওয়ানডেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য দেখা যায় মাশরাফিদের। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিই জিতেছিল লাল-সবুজের দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে মাশরাফি বাহিনী। আর সফলতা পেলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে কিছু বাড়তি আত্মবিশ্বাসও সঙ্গী হবে স্বাগতিকদের।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে গাজী টেলিভিশন (জিটিভি)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত