শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

১৭ জুন, ২০২০ ১৮:৩৫

শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট সড়কে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কালীঘাট সড়ককে করোনা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে শ্রীমঙ্গল প্রশাসন।  বুধবার (১৭ জুন) সকাল ১০ টা থেকে শহরের ওই এলাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী কালীঘাট সড়কের চৌমুহনা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর রয়েছে। তবে জরুরী সেবা ও কৃষিপণ্য পরিবহন এর এই লকডাউনের আওতার বাহিরে থাকবে। এদিকে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জনের কার্যালয় গত সোমবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট সড়ক, ক্যাথলিক মিশন রোড, রুপসপুর, সবুজবাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ, বিরাইমপুর ও শ্যামলীকে (৮টি এলাকা) অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেড জোন ঘোষণা করে।

সরেজমিনে বুধবার লকডাউন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের প্রথম দিন নানা বাহানায় শহরের ওই এলাকা থেকে লোকজনকে প্রবেশ ও বাহির হতে দেখা গেছে। প্রথম দিন হওয়ায় লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা ছিলো সেখানে। অনেকেই দূর-দুরান্ত থেকে এসে লকডাউনের কথা না জেনে কালীঘাট সড়ক ব্যবহার করেছেন। প্রথম দিন হওয়ায় সেখানে পুলিশ, আনসার, স্কাউট ও পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের প্রতি কিছুটা শিথিলতা দেখিয়েছেন। এই সড়কের সংযোগ সড়ক জালালিয়া সড়ক দক্ষিণ ও মুসলিম বাগ এলাকার প্রবেশ মুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করতে পৌরসভার ওই এলাকাকে 'রেড জোন' চিহ্নিত করে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রস্তাব আকারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি। লকডাউনভুক্ত এলাকাগুলোতে সকাল ১০টা থেকে পুলিশ ও আনসার, স্কাউট সদস্যদের টিম কাজ করছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম লকডাউনভুক্ত এলাকাগুলোতে কারও কোনও স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিলে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

এদিকে শ্রীমঙ্গলে এই পর্যন্ত ৩৬ করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন মারা গেছেন ও ১০ জন সুস্থ হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত