জুড়ী প্রতিনিধি

১২ মার্চ, ২০২১ ০২:১২

টিআরের টাকায় নির্মিত হলো শহীদ মিনার

গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের (টিআর) টাকায় দুটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্ধের এই টাকা অনেকক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠলেও এবার শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়।

জুড়ী উপজেলার বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই নেই শহীদ মিনার। সরকারি বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারছে না প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এ বাস্তবায়তায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের টিআর প্রকল্পের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে দুইটি শহীদ মিনার।

বিরইনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও  ভৈরব বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের টিআরের টাকা দিয়ে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। এতে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোট ৮৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ টি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় ব্যক্তি উদ্যোগে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া বরাদ্দে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় জাতীয় দিবসগুলোতে বাশেঁর তৈরী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ৫ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।

বিরইনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মাছুমুর রশীদ জানান,আমাদের বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকায় মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ জাতীয় দিবসে বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে ফুল দেওয়া হত। এখন শহীদ মিনার তৈরী করায় আমরা খুশী।

ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাঞ্চন চক্রবর্তী বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের বরাদ্দকৃত ৫ টি টিআরের মধ্যে ৪ টি টিআর দিয়ে আমাদের ইউনিয়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। অপরটি মসজিদে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে বরাদ্দকৃত টিআর দিয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে বাকি সরকারি স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করার চিন্তা
ভাবনা আছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো ওমর ফারুক জানান, সরকারের দেওয়া বরাদ্দগুলো যাতে ঠিকভাবে কাজে লাগে আমরা তদারকি করছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর দেওয়া টিআর দিয়ে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার মিনার নির্মাণ করা
হয়েছে। টিআর,কাবিখা প্রকল্পের টাকা ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত