বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১১ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৩৭

আওয়ামী লীগ করায় মুক্তিযোদ্ধাকে সমাজচ্যুত!

সিলেটের বিশ্বনাথে জামায়াত বিএনপির অনুসারীরা মিলে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১১এপ্রিল) এমন অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা মো. ইন্তাজ আলী ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত জাকির মামনের ছেলে। তার মুক্তিযোদ্ধার নং-০১৯১০০০৫০৫৭, লাল মুক্তিবার্তা নং- ৫০১০৯০০৫৭, বেসামরিক গেজেট নং-১৪০৬ ও ভারতীয় অগ্রাধিকার তালিকা নং-০৫০১০৮০।

অভিযোগে উল্লেখ করেন গ্রামের মৃত আনোয়ার খানের ছেলে জামাত নেতা দিলদার খান (৪০), মৃত রুস্তুম খানের ছেলে যুবদল নেতা আজমল খান (৪৩), মৃত হারিছ খানের ছেলে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মশাহিদ খান (৬০), মৃত আছাব খানের ছেলে আজাদ খান (৬০), শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মতছিন খানের ছেলে সোলেমান খান বাবুল (৫৩), মৃত মুহিবুর রহমান খানের ছেলে আহমদ খান, মৃত মুহিব খানের ছেলে মুজিবুর রহমান খান (৫৫) মিলে তাকে সমাজচ্যুত করেছেন।

গত ২৬ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে হেফাজতের তাণ্ডব দেখিয়া বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত মনে করে তাড়াহুড়ো করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবারকে জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। প্রায় ৬ বছর যাবত শ্রীধরপুর জামে মসজিদের কার্যকরী কমিটির সদস্য রয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় উক্ত মসজিদ কার্যকরী কমিটির সভাপতি আজাদ খান মুক্তিযোদ্ধাকে ফোনের মাধ্যমে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত থেকে সমাজচ্যুত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পর দিন তিনি পঞ্চায়েতের মুরব্বি তমছির আলীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেনা বলে জানান।

মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর দাবি, প্রায় ৭০টি পরিবার নিয়ে শ্রীধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত। এই ৭০ পরিবারের মধ্যে উক্ত জামাত বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হওয়ায় তারা এ ষড়যন্ত্র করেছে।

মসজিদের মোতোয়ালি আজাদ খান বলেন, তার মেয়ের জামাইয়ের একটি বিরোধের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীকে জানালে তিনি কোন সদোত্তর না দেওয়ায় তাকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়া হয়।

শ্রীধরপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি (মোতোয়ালি) আজাদ খান সমাজচ্যুত করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একটি সালিশকে ঘিরে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

তবে, বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, এ বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত