কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৭ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৩১

কমলগঞ্জে অটোরিকশায় গ্যাস ভরতে ‘টোকেন’ দিচ্ছে পুলিশ!

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এসময় সকল ধরণের গণপরিবহন চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জরুরী প্রয়োজনে বাইরে বের হতে ‘মুভমেন্ট পাস’ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে লকডাউন অমান্য করে বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। চলছে গণপরিবহন।

কিন্তু যাদের এসব নিয়ন্ত্রণ করার কথা তারাই গণপরিবহন চলাচলে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের ‘টোকেন’ নিয়ে স্থানীয় ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। গ্যাস ভরার সুযোগে এসব অটোরিকশা চলছে বিভিন্ন সড়কে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, বিভিন্ন অজুহাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা কমলগঞ্জের শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ম্যানেজ করে ‘টোকেন’ নিয়ে বড়চেগ সিটি ওভারসিজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভর্তি করছেন। লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে চালক ও যাত্রীরা ঘর থেকে বের হয়ে ‘পুলিশকে ম্যানেজ করে টোকেন’ নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যেতে দেখা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গ্যাস ভর্তি করার পাস নিতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের ভিড় করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শমশেনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জরুরী চিকিৎসাজনিত কারণে গ্যাস ভর্তি করার জন্য কয়েকটি সিএনজি চালিত অটো চালককে পাস দেওয়া হয়।’

তবে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘গ্যাস ভর্তি করার জন্য পুলিশ লিখিত কোনো পাস দিতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ প্রয়োজনে মৌখিক অনুরোধ করা যেতে পারে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বিভিন্ন অজুহাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করার খবর পাওয়া গেছে। সরকারঘোষিত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সিএনজি চালকসহ সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত