নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ মে, ২০২১ ১১:২৭

সিলেটের ঈদ জামাতে করোনামুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের মতো সিলেটেও উদযাপন করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সিলেটের প্রতিটি মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের প্রথম নামাজের জামাত।

করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে এবারও সিলেটে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দানে হয়নি ঈদের জামাত। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেট হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মাজার মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেটের প্রধান ঈদ জামাতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে সৃষ্টিকর্তার দরবারে ফরিয়াদ জানায় শত শত হাত। মুনাজাতে ইমাম করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। এ সময় 'আমিন আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত হয় ঈদগাহ এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।

মোনাজাতে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করতে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দিতে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে সাত টায় সিলেটের বন্দরবাজারস্থ হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাড়ে ৮টায় ও সাড়ে ৯ টায় আরও দুইটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

একইসাথে সিলেটের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায় ও বন্দরবাজার এলাকার সিলেট কালেক্টরেট মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় ঈদের ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এতে সিলেটের বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে প্রবেশে মুসল্লিদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অবশ্য মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করলেও বাইরে জটলা দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একই সঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এদিকে নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত