নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ মে, ২০২১ ১৬:০২

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিলেটে পর্যটকদের ভিড়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটসহ সারা দেশের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ মার্চ থেকে সরকারিভাবে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করছেন পর্যটকেরা।

ঈদেরদিন বিকেল থেকে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান, কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও জাফলং, জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর ও লালাখালে ভিড় করতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। তারা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে এসকল যায়গায় ছুটে এসেছেন। আর এ পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কোনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে নীরব থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে পর্যটকদের ঢলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলাগঞ্জ ঘাট থেকে চলছে যাত্রীবাহী নৌকাও। পর্যটকদের পরিবহন করা যানবাহনগুলোর চালকরা হাকাচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া, একইসাথে পর্যটনকেন্দ্রের বাইরের পার্কিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে চালকদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণার পর থেকে এ সকল পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা খুব একটা দেখা যায়নি। দু-একজন পর্যটক এলেও ঈদের দিন দুপুর থেকেই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান পর্যটকেরা। পর্যটকদের মধ্যে অধিকাংশই সিলেট জেলার বাসিন্দা। তবে অন্যান্য জেলা থেকেও পর্যটকেরা আসছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

সিলেটের  কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর ঘুরতে আসা ঢাকার বাসিন্দা পর্যটক রুবেল আলম জানান, ঈদের দিন আট বন্ধু মিলে সিলেটে এসেছেন ঘুরতে। ইতোমধ্যে তারা সিলেটের কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে সাদা পাথর এসে পৌঁছেছেন। প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোম্পানিগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। তবে শনিবার পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে পর্যটনকেন্দ্রেগুলো আজ থেকে খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমরা শুনতে পেরেছি। তবে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত কিংবা অফিশিয়ালি নির্দেশনা পাইনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আমরা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছি।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে আমরা পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করে আসছিলাম। ঈদের ছুটিতে হঠাৎই শনিবার থেকে স্থানীয় পর্যটকেরা ভোলাগঞ্জে ভিড় জমাচ্ছেন। আমরা তাঁদেরকেও নিরুৎসাহিত করে সচেতন থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি।’

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান জানান, পর্যটকরা যাতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত