তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৭ মার্চ, ২০২৪ ২২:২৫

ধর্মপাশায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক মানবজমিন-এর উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইসহাক মিয়া, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক তৃতীয়মাত্রার উপজেলা প্রতিনিধি নূর রহমান তুষার ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মিঠু মিয়া।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের ফুলুর গ্রামের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের ফুলুর গ্রামের সামনে সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে জমি গর্ত করে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটি লুট করে নিচ্ছে একটি চক্র। গত শুক্রবার এই চক্রের অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে উপজেলা প্রশাসন (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপরও তাদের মাটি লুট করা বন্ধ হয়নি। গত শনিবার এই চক্ররা আবার একই স্থানে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছিল। এ সময় তিন সাংবাদিক মাটি কেটে নেওয়ার ছবি তুলতে গেলে ভেকু মেশিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোমেন, হিরণ মিয়াসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করা হয়। কেন ইউএনওকে জানানো হলো এর জের ধরে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং অতর্কিত হামলা করে আহত করে। একপর্যায়ে এখান থেকে কোনো রকম তাদের কবল থেকে বেঁচে বাদশাগঞ্জ বাজারের শামসুন্নাহার মার্কেটে আশ্রয় নেন তিন সাংবাদিক। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ ওখানেও তাদের ওপর আবার হামলা করে। এ সময় চেম্বারে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় ঘটনার দিন শনিবার রাতে সাংবাদিক মো. ইসহাক মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের উত্তর বীর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোমেন মিয়া (৪২), একই গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হুমায়ূন মিয়া (৩০), সলপ গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে হিরন মিয়া (৩৮), মাটিকাটা গ্রামের মৃত মতলিব আলীর ছেলে বাবুল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামছুদ্দোহা মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত