রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

১৮ মার্চ, ২০২৪ ০৩:২৯

সুনামগঞ্জে দুই বছরেও সারেনি বন্যার ক্ষত

২০২২ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সুনামগঞ্জবাসী। ব্যাপক ক্ষতি হয় জান-মালের। ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে যায় বিভিন্ন এলাকার সড়ক। তবে বন্যা চলে যাওয়ার প্রায় দুই বছর হতে চললেও সেই ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে সড়কে। বিশেষ করে বন্যায় বিপর্যস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো বেহাল দশায় আছে। সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।

২০২২ সালের ১৬ জুন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে উপজেলার সব কটি সড়ক বানের পানিতে তলিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এসব সড়ক থেকে পানি নেমে যায়। ফুটে উঠতে শুরু করে বন্যার ক্ষত। ভাঙন ও খানাখন্দে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট।

বন্যার দুই বছর হতে চললেও এখনো সংস্কার করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্মরণকালের ভয়াবহ ওই বন্যায় এলজিইডির আওতাধীন এ উপজেলার কলকলিয়া-তেলিকোনা-চণ্ডীডর সড়কে পাঁচ কিলোমিটার, জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কে ছয় কিলোমিটার, চিলাউড়া-হলিদপুর সড়কে পাঁচ কিলোমিটার, কেশবপুর-এরালিয়া ভায়া রসুলগঞ্জ সড়কে ১০ কিলোমিটার, শিবগঞ্জ-রানীগঞ্জ সড়কে দুই কিলোমিটার ও মজিদপুর-এরালিয়া সড়কের দুই কিলোমিটার পথে বিশাল গর্ত ও খানাখন্দ রয়েছে। এ ছাড়া এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কসহ প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হিরন মিয়া বলেন, ‘ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়ই আমাদের নানা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিতে হয়।

এলজিইডির সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি এ জেলায় নতুন এসেছি। সব বিষয় জানা নেই। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর কাজ শুরু হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত