২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫১
সুনামগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুলকে আগামী সংসদ নির্বাচনের খরচের জন্য নুর কাশেম (৩৭) নামে বিএনপির এক কর্মী ১০ লাখ টাকার চেক তিনি আবেগে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
রবিবার বিকেলে তিনি আরও জানান, আমার এত টাকা নাই। তাহিরপুর থেকে জনসমাবেশ দেখতে গিয়ে এত মানুষ দেখে আবেগে আর কামরুল ভাইকে ভাল পাই তাই দিছি। আমার কোনো ধান্দা নাই আর আমি খারাপ মানুষও না।
তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওর পাড়ের মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা।
গত শনিবার(২৫ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সাচনা বাজারে সুনামগঞ্জ ১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল এর সমর্থনে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য জনসভায় ১০ লাখ টাকার চেক সহ মালা দেয়ার ঘটনা ঘটে।
১০ লাখ টাকার চেক দেয়ার পর বিষয়টি ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। তখন যে ব্যক্তি এত টাকা দিয়েছেন তার একাউন্টে কত টাকা আছে আর তিনি কি করেন কৌতুহল ছিল অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,তিনি পেশায় কৃষক ও ছোট ইটের ব্যবসা রয়েছে। আর তার একাউন্টে রয়েছে ৩ হাজার ৪ শত বার টাকা।
এই বিষয়ে নুর কাশেম বলেন, এখন সবাই যদি কয় তাহলে শ্রীপুর বাজারে আমার একটা দোকানের বিট(ঘর) আছে, ইট আছে বিক্রি কইরা দিমু।
কামরুল সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর বাড়ি তাহিরপুর উপজেলায় উজান তাহিরপুর গ্রামে।
সভায় মঞ্চে উঠার পর কামরুলকে অনকেই টাকা ও ফুলের মালা দেয়। কিন্তু ব্যতিক্রম হয় শুধু মঞ্চে উঠে বিএনপির কর্মী নূর কাসেম নির্বাচনে খরচের জন্য কামরুলের গলায় মালাসহ ১০ লাখ টাকার একটি চেক পাড়িয়ে দেন।
কামরুজ্জামান কামরুল জানান, নুর কাশেমের ভালবাসা আমার জন্য ও দলের জন্য সেটাই প্রকাশ করতে চেয়েছিলো আমার বিশ্বাস। সেই ভালবাসাটাই গ্রহণ করবো, চেকটি আজ বরিবার বিকেলে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের একতা বাজারে সভায় তার হাতে তুলে দিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মাঠে রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক,সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মোতালেব খান।
আপনার মন্তব্য