নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ মার্চ, ২০১৬ ১২:৫৮

জামায়াতের হরতালে সাড়া নেই, মাঠে নেই কর্মীরাও

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের অন্তর্ভুক্তির বিধান নিয়ে রিট আবেদনের শুনানির বিরোধিতায় জামায়াতে ইসলামী হরতাল ডাকলেও অর্ধেক দিন পার হবার পরও সিলেট নগরীতে তেমন কোন প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য স্থানেও স্বাভাবিক ছিল পরিস্থিতি।

সোমবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় জামায়াত-শিবির কর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতা বা মিছিল-পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকেই সিলেটে বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানচলাচল কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও। এমনকি জিন্দাবাজারে চিরচেনা যানজটও লেগে থাকতে দেখা যায়।

নগরীর জিন্দাবাজার, রিকাভীবাজার, বন্দরবাজার ও আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। 



সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে কার্যত বিরোধী দলবিহীন চতুর্থ জাতীয় সংসদে ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন পায়। এর দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে যুক্ত ২ (ক) দফায় বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে’।

ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক।

২৮ বছর আগের ওই আবেদনের ভিত্তিতে দেওয়া রুলের ওপর সোমবার হাই কোর্টের বৃহ্ত্তর বেঞ্চে শুনানি শুরু হচ্ছে।

১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ৩ দিনের হরতাল ডেকেছিল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সম্মিলিত স্বৈরাচার বিরোধী জোট। তখনকার সেই হরতালেও সমর্থন জানিয়েছিল জামায়াত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত