কুলাউড়া প্রতিনিধি

১০ মে, ২০১৬ ১৮:৩৪

গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূণ্য কুলাউড়ার কয়েকটি গ্রাম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।

৭ মে শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী সহিংসতায় জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ১২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৭মে শনিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনের ব্যালট বাক্সসহ সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সহিদ বাবুলের সমর্থকরা রাঙ্গিছড়া বাজার এলাকায় তাদেরকে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করে। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সহিদ বাবুল ও আ’লীগের প্রার্থী এম এ রহমান আতিকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়।

এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে প্রার্থীদের সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদুর রহমান সিদ্দিকী পিপিএম, কুলাউড়া থানার কনস্টেবল আব্দুর রহমান ও আল আমিন আহত হন। এঘটনায় পরদিন রোববার এসআই আবুল বাশার বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সহিদ বাবুলকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫শতাধিক লোককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে ওই ইউনিয়নের কর্মধা, নলডরী, ফটিগুলী, বাবনিয়া, হাসিমপুর, রাঙ্গিছড়া, কালিটি, মনসুরপুর, বুধপাশা, টাট্টিউলী, বাড়–য়াকান্দিসহ কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। রাত নামলেই আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই নুর হোসেন জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত