বড়লেখা প্রতিনিধি

১৪ মে, ২০১৬ ২১:০৬

বড়লেখায় যুদ্ধাপরাধ তদন্তে ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তারা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন পাক বাহিনী ও রাজাকার কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন বধ্যভূমি পরিদর্শন করেছেন আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা শনিবার জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় ভূক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৯ মে স্থানীয় রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় পাক-বাহিনী উপজেলার ঘোলসা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী নগেন্দ্র কুমার দাস, মতিলাল দাস, হরেন্দ্র লাল দাস, শ্রীনিবাস দাসসহ কয়েকজনকে বর্তমান উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। তিনদিন নির্যাতনের পর ২২ মে রাতে জুড়ীর একটি ক্যাম্পে কুপিয়ে তাদের হত্যা করে। মৃত ভেবে বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া শ্রীনিবাস দাসকে গলাকাটা অর্ধমৃত অবস্থায় মুক্তিবাহিনী উদ্ধার করে।

যুদ্ধাপরাধ ঘটনার তদন্ত ও স্বাক্ষ্যগ্রহন শনিবার জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়কারী মো. আব্দুল হান্নান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহজান কবির, অতিরিক্ত এ্যাটর্নী জেনারেল মূখলেছুর রহমান বাদল এবং সহকারী এ্যাটর্নী জেনারেল পারভিন সুলতানা ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহজান কবির জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে পাক-বাহিনীর হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ২৬ জনকে স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য ট্রাইব্যুনাল থেকে নোটিশ দেয়া হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন বীরাঙ্গনাও ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত