নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:০৫

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ছাত্রলীগের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মীদের 'গণহারে'  আসামী করে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ।

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দেড়ঘন্টাব্যাপী  নগরির চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ফলে জিন্দবাজার-আম্বরখানা সড়ক প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তৈরি হয় তীব্র যানজট।

সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার অনিভেপ্রেত ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ প্রথমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায় পর গণহারে আসামী করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।

আরও পড়ুন- পুলিশই প্রথম ছাত্রলীগ নেতাদের উপর আঘাত করে, দাবি জাকিরের


মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম তুষারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতা ইমরুল হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ময়নুল হাসান।

সমাবেশ শেষে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  সোমবারের ঘটনায় পুলিশ এক পাক্ষিক আচরণ করেছে, সুর্নিদিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে গণহারে আসামী করে হয়রানি করছে।

তিনি বলেন, "এই সমাবেশ থেকে আমরা নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নেতাকর্মীদের উপর দেয়া গণহারে মামলা প্রত্যাহারে প্রসাশনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সুরাহা করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।"

আরও পড়ুন- ‘আমরা ছাত্রলীগের ছেলে, আমরা কেনো যেতে পারবো না’


এদিকে ছাত্রলীগের সমাবেশ সম্পর্কে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) রহমতুল্লাহ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, "এই সমাবেশ সম্পর্কে পুলিশ অবগত নয়।"


প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর আম্বরখানায় পুলিশের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। হযরত শাহজালাল (র.) এর ওরশ উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আম্বরখানা পয়েন্টে দেয়া ব্যারিকেড না মেনে মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফির নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী মাজারের দিকে যেতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় পুলিশ। পরে সুফির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং এ ঘটনায় ৬জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।

আরও পড়ুন- পুলিশের উপর হামলা : সুফিসহ ১০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কারাগারে

সে সময় চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ ব্যারিকেডে মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে বাধা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা “আমরা ছাত্রলীগের ছেলে, আমরা কেনো যেতে পারবো না” বলে পুলিশের উপর চড়াও হন। এ সময় আরো কর্মীদের ডেকে এনে পুলিশের উপর হামলা করা হয়।

পরে তারা মিছিল করে সুনামগঞ্জ রোড দিয়ে চলে যাবার সময় দুটি ট্রাক ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে বলেও জানায় পুলিশ।

এ হামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহীন, সহকারি উপ-পরিদর্শক আজিজ, ফরহাদ ও কন্সটেবল আব্বাসসহ ৬ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হোন। ওই রাতেই উপ-পরিদর্শক শাহীন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ কামাল সুফিসহ ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার দিনের মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সুফিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত