নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০১:৩১

জকিগঞ্জের বিরল রোগে আক্রান্ত নূরের দায়িত্ব নিলেন সিভিল সার্জন

সিলেটের জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়নের কজাপুর গ্রামের বিরল রোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র আব্দুন নূরের (১২) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়। এজন্য আগামী শনি অথবা রোববার তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র নূর পড়ালেখায় মেধাবী। তবে তার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে। দেখলে মনে হবে তার বয়স ৩০-৩৫ বছর। তারা শরীরের চামড়া শুষ্ক হয়ে ঝুলে পড়ছে, মাথা বড়, চুল ও চোঁখের উপরে ভ্রু নেই। মুখটাও ছোট, হাত ও আঙ্গুলের হাড়গুলো স্পষ্ট ভেসে উঠেছে; তাছাড়া চলাফেরাও করছে ধীরগতিতে।

কথাও বলে আস্তে আস্তে। তার শারিরীক এমন গড়নের কারণে ক্লাসের অন্য শিশুরা ভয় পায় বলে জানান তিনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হীরেময় নাথ।

তার বাবা আব্দুল বাসিত কাতার প্রবাসী। তার মা রাবিয়া বেগম জানান, ‘জন্মগত ভাবে নূর এই রোগে আক্রান্ত। এজন্য তারা অনেক চিকিৎসকের কাছে গেলেও কোন উপকার পাননি। ’

চিকিৎসকরা রোগের লক্ষণ দেখে একে ‘প্রজেরিয়া (Progeria)’ জিন গঠিত বিরল রোগ হতে পারে বলে মনে করছেন। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর সঠিক তথ্য জানা যাবে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: হিমাংশু লাল রায় জানান, আমাদের সমাজে সচরাচর এ ধরণের রোগ দেখা যায় না। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে শিশুটিকে শিগগিরই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তার চিকিৎসায় প্রয়োজনে একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হবে। এছাড়া সকল ব্যয়ভার গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। এ ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে আরলি এজিং (অপ্রাপ্তবয়স্ক বৃদ্ধ ) মনে হয়। শিশু নূরের ক্ষেত্রেও এমনটি মনে হচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত