হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২৬ নভেম্বর, ২০১৭ ১৮:৫৮

কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা: গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ, একজন কারাগারে

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জে সংরক্ষিত আসনের এমপি কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করা হয়।

এদিকে, আলোচিত এই হামলা মামলার এক আসামী রোববার আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। রোববার সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

দুপুরে মামলার ৩ নম্বর আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়ার গাড়িচালক জসিম উদ্দিন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সন্ধ্যায় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

এরআগে দুপুর ১২টার দিকে বাহুবল উপজেলা সন্ত্রাস দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ডাকে মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার লোক। অবরোধের সময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ও বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীর ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামালাকরীদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বেলা ১টার দিকে অবরোধ স্থগিত করে নেওয়া হয়।

এ সময় বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। প্রতিদিনই আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
হবিগঞ্জে সড়ক অবরোধ

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, ‘এমপি কেয়া চৌধুরীর হামলার ঘটনায় জড়িতদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।’

বাহুবল উপজেলা সন্ত্রাস দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের আশ্বাসের কারণে আমরা অবরোধ স্থগিত করেছি। যদি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর বিকালে উপজেলার মিরপুরে একটি সভায় এমপি কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান শাহেদ এর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ এলাকাবাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘটসহ আন্দোলন করে আসছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর স্থানীয় ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার বাদী হয়ে তারা মিয়া শাহেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরও কোনও আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত