হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০৯ মে, ২০১৮ ১৬:৪৫

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু, আহত ৮

হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো আটজন।

বুধবার (৯ মে) দুপুরে জেলার বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার বৈলাকপুর গ্রামের হরিচরণ পালের ছেলে নারায়ন পাল, আমড়াখাই গ্রামের হাবিব উল্লার ছেলে আবু তালিব, মাধবপুর উপজেলার পিয়াইম গ্রামের রামচরণ সরকারের ছেলে জহরলাল সরকার, লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের জাহেদ মিয়ার ছেলে চকি মিয়া, সুনামগঞ্জের ধাইপুর গ্রামের বসন্ত দাসের ছেলে স্বপন দাস ও সিরাজগঞ্জের নওসের মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টায় বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি হাওড়ে প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলেন ধানকাটা শ্রমিকরা। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই সুনামগঞ্জের স্বপন দাস মারা যান। প্রায় একই সময়ে বানিয়াচংয়ের মাইচ্ছার বিল হাওড়ে বজ্রপাতে নিহত হন সিরাজগঞ্জের জয়নাল মিয়া। এছাড়া দুপুরের দিকে নবীগঞ্জের বৈলাকপুর হাওড়ে নারায়ন পাল ও আবু তালিব বজ্রপাতে নিহত হন। একই সময়ে মাধবপুরের পিয়াইম হাওড়ে নিহত হয় জহরলাল সরকার।

এছাড়া লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আহত হন চকি মিয়া। গুরুতর অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে আহত হন আরো ৮ ধানকাটা শ্রমিক।

আহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের দুলাল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, মাকালকান্দি গ্রামের গোপেশ দাসের ছেলে দিপুল দাস (৩৭), একই গ্রামের বিষ্ণুপদ (৪৫), তকবাজখানী গ্রামের ওয়াহিদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, নবীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁওয়ের মর্তুজ আলীর ছেলে জহুরুল মিয়া, আখলুছ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (২০), জালাল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫), মার্কুলী এলাকার রাশেদ মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া (৩০)।

এদের মধ্যে ৪জনকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গত এক মাসে হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ২৫ জন। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বজ্রপাতে কৃষক মারা যাওয়ার ঘটনায় তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃষ্টির সাথে ঝড় তুফান দেখা দিলেই অনেক কৃষক হাওরের কাজ ফেলে বাড়ি চলে আসেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত