নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১০:৫৭

শিক্ষক ফনিভূষণ পালের অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ

শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শিক্ষক ফনিভূষণ পাল।

সম্প্রতি সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার (অব.) ড. আবদুল মালিক।

শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষক ফনিভূষণ পাল ফনিভূষণ পাল ১৯৬৮ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজারের আলীনগর ইউনিয়নের উত্তরভাগ পালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ানীবাজারের ঢাকাউত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং এমসি কলেজ সিলেট থেকে শিক্ষাজীবনের বাকি অধ্যায় সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি সিলেট জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নেন।

তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন তার নিজের স্কুল ডিএম হাইস্কুল থেকে। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

এরপর ২০১০ সালে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আজাদ চৌধুরী একাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু করেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এর স্বীকৃতি পেয়েছেন একাধিকবার। শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্ধুব্ধ করতে চলমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) প্রজেক্ট সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্যে তিনি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে পুরস্কৃত হন।

তিনি মানবাধিকার সংস্থা বিয়ানীবাজার শাখার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিয়ানীবাজার শাখার ভাইস চেয়ারম্যান।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ফনিভূষণ পাল বলেন, শিক্ষকতা মহান পেশা- বাক্যটা এভাবে বলা হলেও আমি আমার তিন দশকের বেশি সময়ের শিক্ষকতা জীবনে তা মনে না করে শিক্ষকতাকে সামাজিক ও মানবিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমি জীবনের প্রাপ্তি হিসেবে অর্থনৈতিক ব্যাপারকে গ্রহণ না করে মানবিক ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব পালনের সময়ে আলোকিত মানবিক মানুষ গড়তে চেয়েছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত