বানিয়াচং প্রতিনিধি

৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ২০:০৮

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং রোডের উমেদনগর নামক স্থানে রাস্তার উভয় পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল লোড-আনলোড করার ফলে দিনের বেশির ভাগ সময়ই যানজট লেগে থাকে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রী বোঝাই বিভিন্ন গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ওখানে। যার ফলে যানজটে বানিয়াচং থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের অবস্থা আরও বেগতিক হয়। যেখান জেলা শহরে পৌঁছতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সেখানে যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সড়কে। এই যানজটের কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, আইনজীবী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ সড়ক ব্যবহারকারীদের।

জানা যায়, এই  যানজটের কারণ রাস্তার উভয়পাশে প্রায় ২০/২২ অটো রাইস মিল। রাইস মিলের পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল লোড-আনলোড করার কারণই যানজট সৃষ্টি হয়। এই অটো রাইস মিলের মালিকদের খামখেয়ালিপনার কারণেই এই রাস্তায় যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উমেদনগরের মাজার গেইট থেকে জলা শহরের প্রবেশমুখ তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত অবস্থিত রাইস মিলের সামনে তাদের মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য ইচ্ছেমতো এলোপাথাড়ি ভাবে ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলি দাঁড় করিয়ে রেখেছেন চালকরা। এর ফলে রাস্তার উভয়পাশেই যানজট লেগে আছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওখানে যানজট লেগে থাকে বলে জানিয়েছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন চালক।

তারা আরও জানান, মিল মালিকদের নিজস্ব কোনো পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার মধ্যে গাড়ি রাখার ফলে রাস্তা অর্ধেকটা দখল হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারেনা।

শিক্ষার্থী রুবেল হাসান অভিযোগ করে জানান, এ দীর্ঘ যানজটের ফলে প্রতিদিনই তাদের স্কুলে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। গতকালও যানজটে আটকে দেরিতে গিয়ে ক্লাসে হাজির হতে হয়েছে। উভয়দিকেই গাড়ি থাকার কারণে রিকশা এমনকি মোটরসাইকেল ও যেতে পারেনা এই রাস্তা দিয়ে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় কষ্ট করে হলেও বাড়িতে আবার কেউ বা জেলা শহরে ফিরেন।

এই বিষয়ে কথা হয় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের সাথে। তিনি জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটা কাম্য নয়। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব করার জন্য আমি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে কথা বলবো।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত