কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৫ জানুয়ারি, ২০২০ ১৭:৫৯

কমলগঞ্জে ৫ দিন ধরে ১৬ স'মিলে কাঠ চিড়াই বন্ধ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ১৬ টি করাত কল (স'মিল) ১৫ টাকা মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত ৫ দিন ধরে কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা কাঠ চিড়ানো থেকে বিরত থাকায় স'মিল মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। এতে কাঠ শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

কমলগঞ্জের কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই পৌরসভা এলাকায় তেল ও বিদ্যুৎ চালিত ১৬ টি করাত কল (স'মিল) একসাথে প্রতি ঘন ফুট কাঠ চিড়ানোতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ঘন ফুট কাঠ চিড়ানো ৫০ টাকা করেছেন। যে জায়গায় তেল চালিত করাত মিল (স'মিল) গুলোতে প্রতি ঘন ফুট কাঠ চিড়ানো হতো ৩০ টাকা আর বিদ্যুৎ চালিত করাত মিল (স'মিল) গুলোতে ৩৫ টাকা। সেখানে পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই মিল মালিকরা এক লাফে ১৫/২০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করেছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় প্রায় হাজারো কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় কাঠ এসকল মিলগুলোতেই চিড়ানোর কাজ সেরে থাকেন। হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মিল মালিকরা চিড়ানোর দাম বাড়িয়ে দেয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে কাঠ চিড়ানো বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছে কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ীর সংগঠন। এ ব্যাপারে ফার্নিচার ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে কমিটির আহবায়ক আব্দুল করিম, যুগ্ম আহবায়ক হারিছ মিয়া, রুমন আহমেদ, তারেক আহমেদ ও মুমিন মিয়াসহ শতাধিক ব্যবসায়ী গত ২ জানুয়ারি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এর উদ্যোগে স'মিল মালিক এবং কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত সকল প্রকার কাঠ চিড়ানো বন্ধ রয়েছে।

কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী সংগঠনের আহবায়ক আব্দুল করিম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এর অনুরোধে আমরা ৪০ টাকা ফুটে কাঠ চিড়ানোতে রাজি হয়েছি। তবে জ্বালানোর কাঠ আমরা মিল মালিকদের আর দিব না, কিন্তু মিল মালিকরা এই প্রস্তাব না মানায় বিষয়টি শেষ হয়নি। আমরা (রোববার) রাতে সকল কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ীদের বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

এএসএম আজাদুর রহমান স'মিল এর মালিক এড. এএসএম আজাদুর রহমান বলেন, আগে আমরা একটি লাইসেন্স দিয়ে মিল পরিচালনা করতাম। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর, ডিপু, ফরেষ্ট শ্রমিক, ট্রেড, ভ্যাট ইনকামট্যাক্সসহ ৭/৮ টা লাইসেন্সের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমরা কাঠ চিড়ানোর দাম বাড়িয়েছি।

কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত