সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৮:৫৪

হাওর বাঁধে জমির মালিকদের পিআইসিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওর রক্ষায় পাউবো বাঁধ কৃষিজমির স্থানীয় মালিকদের অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মানববন্ধন করেছে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামবাসী।

এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় সানবাড়ি গ্রামের সম্রাট চৌধুরী, পরিমল মজুমদার, গোপিকা রঞ্জন তালুকদার,  রাজাপুর গ্রামের মোশাররফ আহমেদ নবীন, আব্দুল মতলিব প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্থানীয় টংগীরবাঁধ থেকে সানবাড়ি শ্মশানঘাট এলাকাজুড়ে এই চন্দ্রসোনারথাল হাওরে সানবাড়ি ও রাজাপুর উভয় গ্রামের অধিকাংশ ধানের জমি রয়েছে। হাওরের একপাশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য অনুমোদিত ৪টি বাঁধ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮ নং এই চার পিআইসির বাঁধ নির্মাণ হবে সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামের জমির মালিকদের রেকর্ডকৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে। বাঁধের জন্য মাটিও আনা হবে উক্ত দুই গ্রামের কৃষকদের নিজস্ব জমি থেকে। অথচ পিআইসি কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে প্রায় ৪/৫ কি.মি. দূরবর্তী লোকদের নিয়ে। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধর নিকটবর্তী জমির মালিকদের উপেক্ষা করে দূর থেকে ভাড়াটিয়া পিআইসি অন্তর্ভূক্তকরণ এটা মেনে যায় না।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮নং প্রকল্প সদ্য অনুমোদন হলেও কমিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি পাউবো'র হাওরবাঁধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনায় ৪কিলোমিটার দূরের গ্রামের লোক এনে ৫৬নং প্রকল্পে কাজ শুরু করানো হয়েছে।

বক্তারা বলেন, এই চারটি প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত অধিকাংশ জমিই সানবাড়ি ও রাজাপুর গ্রামবাসীর। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই দুই গ্রামের কাউকেই এতে সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাই  এবিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্তারা বলেন, হাওর বাঁধ  নিকটবর্তী এই দুই গ্রামের জমির মালিকদের পিআইসিতে অন্তর্ভুক্ত না করা হলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা।

এ ব্যাপারে  ধর্মপাশা উপজেলার পাউবোর দায়িত্বরত শাখা কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমিও দেখতেছি, ইউএনও স্যারকেও অবগত করুন।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব (এসিল্যান্ড)  বলেন,  এরকম একটি অভিযোগ এসেছে। তারা জমির কাগজপত্র দিয়েছেন। কমিটিগুলো এখনও ফাইনাল করা হয়নি। আমরা যাচাই বাছাই করে দেখতেছি। তবে সাইটে গিয়ে প্রকল্পগুলো যাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই হাওরে তাদেরও জমি আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত