০৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:০৪
গ্রামে জন্ম অথচ শাপলা চিনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। কিন্তু শহুরে জীবনে বেড়ে উঠা মানুষের কাছে শাপলা যেন শুধু পাঠ্য বইয়ে পড়া জাতীয় ফুল ।
তাই এই ফুলটাকে কাছে টানার জন্যই হোক আর পরিবেশের মনকাড়া রস অবগাহনের জন্যই হোক মনস্থির করলাম সিলেটের বিখ্যাত জৈন্তা রাজ্যের ডিবির হাওড়ের বিলগুলোতে লাল শাপলার রাজ্যে যাওয়ার ।. . .
যেহেতু শাপলা দেখতে যাবো-আর গণমাধ্যমে কাজ করি বিধায় সবসময়ই পরিকল্পনা একটু ভিন্ন হয়, বা হতে হয় । কখন রওয়ানা দেব, কয়টায় পৌছাঁবো, এসব নিয়ে ভাবতে থাকলাম । প্রাথমিক ধারনায় মনে হলে সেখানে ভোর রাতে পৌঁছাতে পারলে সব চেয়ে ভাল ছবি পাওয়া যাবে.. কিন্তু বললেই তো আর পারা যায় না যিনি আমাদেরকে নিয়ে যাবেন সেই গাড়ির চালক আমাদের কে ভোর রাতে নিযে যাবেন কি না তারউপর নির্ভর করে । তাই আগের রাতে গাড়ি চালক মামুন ভাই কে ফোন দিয়ে বললাম, হুজুর আসসালামুআলাইকুম! সালাম দেয়ার সাথে সাথে মামুন ভাই বুঝে ফেল নিশ্চয় আজ কোন মতলব আছে আমার- না হলে এত ভদ্রভাবে আমি তাকে সালাম দেয়ার কথা না, এইসব মানুষেরা আমাদের চেয়েও একটু চালাক আর ভাল হয় তাই সহজেই তারা বুঝে ফেলে সব কিছু । তখন ফোনের ওপ্রান্তে মামুন ভাই মৃদু হেসে বলল, বস! আসল কাজ কি সে টা বলেন? আমি তাকে বললাম কাজ তেমন কিছ্ইু না শুধুমাত্র ভোর সাড়ে চারটায় আমাকে জৈন্তাতে আপনি পৌঁছে দিতে হবে। এটা কি ভাবে সম্ভব একটু পরামর্শ দেন বস।
এই ভাবে কথা বলায় সে আল্লাদে আটখানা হয়ে বলল আরে এটা কোন ব্যাপার নাকি। আপনি যাবেন আর আমি না করবো এটা হতেই পারে না । চলেন বস রাত ২ টায় রওয়ানা দেই, তাহলে আমরা ভোর সাড়ে চারটার আগে পৌঁছে যাবো। তার কথা শুনে আমারও এত আনন্দ লাগছিল যেন আমি নোবেল পুরষ্কার পেয়ে গেলাম । দুনিয়ার সব শান্তি আমার উপর এসে পড়ল।
এবার দ্বিতীয় ধাপ- বিপদ উতরানোর পালা । যেহেতু টিভি সাংবাদিকতায় জড়িত সেখানে ভিউজিয়াল বা ক্যামেরায় কাজ করা সহকর্মীর উপরই রিপোর্টারের পুরো নির্ভরশীলতা। এখন চিন্তা একটাই ভিডিওগ্রাফার সহকর্মী দিপক দিপুকে রাজি করাই কি করে যে রাত ২ টায় আমরা রওয়ানা দিবো । ভাবতে ভাবতে কোন কিছু না ভেবেই তাকে বললাম আমরা আজ রাত ২ টায় রওয়ানা দেবো জৈন্তাতে! সেও দেখি কোন ভাবনা চিন্তা না করেই রাজি হয়ে গেল এক কথায়, আমি তখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ । আমার আর কোন বাধা থাকল না । মানে কাল (২৪ নভেম্বর) সত্যি সত্যি শাপলা দেখতে যাচ্ছি।
কিন্তু চিন্তা আরেকটি এত দুরে এত রাতে রওয়ানা দেবো, রাস্তায় বিপদ আপদ আর উপভোগের বিষয়টি মগজে গিয়ে টুক টুক শব্দ করছিল। তাই স্মরণ করলাম সব সময়ের সাথী প্রথম আলোর আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ এবং ডেইলি সান পত্রিকার আলোকচিত্রি মামুনকে। মামুন ভাই রাজি হলেও আনিস মাহমুদ বেঁকে বসলেন। আনিস মাহমুদ সম্মতি না দেয়ায় কিছুটা হতাশ।
যেমন ভাবা তেমন কাজ, রাত ২ টায় সিলেট জিন্দাবাজার থেকে রওয়ানা। সহকর্মী দিপু রাতে ঘুমায়নি সারা রাত ই অফিসে ছিল ডেইলি সানের মামুন ভাইয়েরও একই অবস্থা, তার সাথে যোগ দিল এএসএনপির আলোকচিত্রি প্রিতম, সিলেট টাইমস বিডির স্টাফ রিপোর্টার অভি। আমার বাসা শহরের উপকন্ঠে মেজরটিলাতে থাকায় তাদের প্রথম গন্তব্য আমার বাসায়। পুরো রাত ঘুমাইনি। জিন্দাবাজার থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমাকে কল দিল । আমিও বের হয়ে গেলাম বাসার বাইরে।
কিন্তু বাহির হওয়ার পরই ঘটল বিপত্তি । গেইটের বাইরে যেতেই আক্রমন করল ৫/৬ টি কুকুর। ভয়ে আমার দৌঁড় দেখে কে? এক দৌঁড়ে বাসার ভেতরে আমার বড় বোনের কাছে। ঘটনা জানার পর বড় বোন আমাকে নিয়ে বের হল।
সেই সুযোগে আমরা রাত ঠিক আড়াইটায় বাসার সামনে একটা সেলফি তুলে সবাই রওয়ানা দিলাম জৈন্তার উদ্দেশ্যে। যাত্র পথে সবাই ঠান্ডায় অনেকটা কাবু হয়ে গেছে ভাবলাম কিছু রসের দরকার। চালক মামুন ভাইকে বললাম গান ধরতে, কিন্তু উনি হুজুড় মানুষ নামাজ কালাম পড়েন আমার কথাতে কিছুটা বিচলিত হয়ে গেলেন। তারপর গল্পে আড্ডায় রাত তিনটায় পৌঁছালাম হরিপুর বাজারে। গিয়ে সেখানে চা বিরতি। অতি কম বয়সি ২/৩ জন বালক রেষ্টুরেন্ট খুলে বসে আছে, সেখানে তাদের সাথে জমিয়ে দিলাম আড্ডা। গল্প, হাসাহাসি আর চা পানের মধ্য আরেকটা সেলফি তুলে শরীর টাকে চাঙা করে আবারো রওয়ানা দিলাম গন্তব্য স্থলে ।
জৈন্তা বাজারো পৌঁছালাম রাত সাড়ে চারটায়। সেখানে গিয়ে আমাদের সাথে যোগ দেন স্থানীয় সাংবাদিক সাব্বির ভাই। সেখানে চা পান খেয়ে আমরা রওয়ানা দিলাম ডিবির বিল হাওড়ে । ঠিক ফজরের আজান হওয়ার সাথে সাথে আমরা চলে গেলাম সেখানে।
তারপর শুরু শাপলা কাহিনী-
তখনো পূবাকাশে ভোরের লাল সূর্য উঠেনি , আবছা আলো আবছা অন্ধকারে সবুজ পাতার ফাক গলে ফুটে থাকা থোকা থোকা লাল শাপলা গুলো ফুটে উঠার অপেক্ষায় । দিনের আলোর আগমন ঘটছে আর পাহাড়ের পাদদেশ ঘিরে জল আর সবুজ পাতা গুলো যেন তার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের সৌন্দর্যেরডানা মেলে ধরছে । এই সুন্দর মেলে ধরার অপেক্ষা যেন কেবল আমাদের জন্যই । একদিকে লাল শাপলার সমারোহ অন্যদিকে কাছ থেকেই মেঘালয় কন্যার অপরূপ দৃশ্য , মেঘাচ্ছন্ন সকাল ভেদ করে জেগে ওঠা সুর্যের আভায় পাখিদেরকিচির মিচির - যেন কোন এক রুপ কথার গল্প যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
পুর্ব দিগন্তের লাল সুর্য পাহাড়ি জনপদ আর প্রকৃতি যেন এক তালে জেগে উঠেছে । এর মধ্যে আমাদেও সাথে যোগ দিলেন ২ মাঝি। আমরাও নেমে পড়লাম প্রত্যেকের উদ্দেশ্য পুরণ করতে । যখন নৌকা দিয়ে শাপলাকে ভেদ করে ছুটে চলছি তখন মনে হল সবুজ পাতায় ঢাকা পড়া বিস্তীর্ন জলরাশির ওপর হাজারো রঙ্গিন শাপলার আপন রূপ দেখছি আমি। বিলের পরতে পরতে সবুজের মাঝেচোখঝলসানো লালের আধিক্য। সবমিলে জৈন্তপুরের এই হাওড় যেন এক অদ্ভুত সৌন্দর্যের মায়াবি জমিন।
এসব বিলের অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে। যার প্রাকৃতিক রূপ শাপলা রাজ্যকে দিয়েছে বাড়তিমাত্রা। তাছাড়া বিলের মাঝে চিরায়ত বাংলার সবুজ মাঠে পশু পাখির বিচরন , গ্রামীন জনপদের জীবন যাত্রার প্রকৃত রুপ যেন মেলে ধরে তার আপন মহিমায় । কৃষকদের চাষাবাদের ব্যস্ততা কিংবা বিলের কিনারে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য চিরায়ত বাংলার আসল রুপ এটি।
এই ভাবে দিনের বিকেল পর্যন্ত শাপলার সাথে গলাগলি করে সবাই ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসি। তবে এ ক্লান্তি ছিল দেহে মনে নয়। কিন্তু শাপলার বিল থেকে চলে আসলেও শাপলা নিয়ে জানার আগ্রহ টা কমেনি একটুও।
এই শাপলা নিয়ে তখনও মনে বিস্তর ভাবনা! সহযোগীতা নিলাম বিভিন্ন বিজ্ঞ জনের - আলোচনায় যুক্ত করলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরকার সুহেল রানা ভাইকে। তিনি আমাকে শাপলা নিয়ে তথ্য দিলেন এক কথায় আমি অভিভুত । তাঁর মাধ্যমে জানতে পারলাম শাপলা আমাদের দেশের জাতীয় প্রতিক হিসেবেও যেমন ব্যবহার করা হয় তেমনি বিশ্বের ভিবিন্ন দেশেও একই ভাবে তার ব্যবহার রয়েছে।
শাপলা যে কেবল বিল বা জলাশয়েরই সৌন্দর্য্য তাই নয়, এই ফুল গুলোর সংগে প্রাণ বৈচিত্রতার পাশাপাশি সাহিত্য শিল্পেও বিচরণ সমান ভাবে। আর তাই মানবের সৌন্দর্য প্রকৃতির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে শাপলা যায়গা করে নেয় কবি সাহিত্যকদের সৃষ্টিতেও । তারই প্রমান খ্রীষ্টপুর্ব ৩০০ শতাব্দিতে এরিষ্ট্যটল ও প্লেটোর ঘনিষ্ট্যতম শিষ্য থিউ ফাস্টাস শাপলাকে উল্লেখ করেছিলেন প্রানের শুদ্ধতার প্রতিক হিসেবেই। কারন একদিকে শাপলা যেমন প্রানের সজিবতার শুদ্ধতার জন্য কাজ করে তেমনি জাতীয় সংগ্রামের অন্যায়ের বিকল্পরুপেও তার আবির্ভাব ঘটে।
শাপলা নিয়ে এত সুন্দর কথায় আমি অনেকটা বিমোহিত। আসলেই তাই এতদিন শাপলাকে জানতাম শুধূ আমাদের জাতীয় ফুল হিসেবেই আর এখন জানলাম শাপলার ব্যবহারিক তাৎপর্য অনেক গভীর।
শাপলা শুধুই যে সৌন্দর্যের প্রতীক তা কিন্তু নয়। এর ঔষধি গুণসম্পন্ন উপকারিতাও রয়েছে ব্যাপারটিকে আরো পরিষ্কার করে দিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর এএফএম সাইফুল ইসলাম স্যার।
তিনিই জানালেন সাহিত্যের পাশাপাশি উদ্ভিদ বিজ্ঞানেও শাপলার গুরুত্ব অনেক। শাপলা ‘নিমফিয়েসি’ গোত্রের দ্বিবীজ পত্রী একটি উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম-Nymphacaae. ইংরেজি নাম Water Lili উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে শাপলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে আদিম দ্বিবীজপত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়। শাপলা পরিবেশে অর্নামেন্টাল ভ্যালুর পরিপুরক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া পরিবশের ভারসম্য রক্ষায় শাপলার কার্যকারিতা অনেক।
কারন জলাশয়ের বসবাস রত প্রানীকুল বিশেষ করে মাছ শামু, ঝিনুক, বেঙ কিংবা সাপের খাদ্য যোগান দেয় এই শাপলা গাছ । তাছাড়া গ্রামীন সমাজে খাদ্য তালিকায়ও শাপলার গুরুত্ব অনেক । এর জন্য বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে শাপলার বানিজ্যিক চাষ রয়েছে।
পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশে এর উৎপাদনশীলতায় গতি আনতে পারলে দেশের জন্য কৃষি খাতে আরেকটি সফল অর্জন হতে পারে বলেও মনে করেন কৃষি গবেষক রা।
সব শেষে সেইভ দ্যা হ্যারিটেইজ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল হাই আল হাদী ভাই আমাকে আরো মজার তথ্য দিলেন । তিনি বললেন পাহাড়ের পাদদেশ ঘিরে ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা বিল ও ইয়াম বিলের প্রায় ৪০০একর জায়গা জুরে চারটি বিলে শাপলার ইতিহাসের সাথে প্রাচীন বাংলার ইতিহাসও জড়িত । শুকনা মৌসুমে এই বিলের পুরোটাই লাল শাপলায় ঢাকা পড়লেও শীতের শেষে পানি সেঁচে চলে এলাকাবাসী মাছ ধরার উৎসব। তবে ইতিহাস শুকায় না কেননা বাংলাদেশের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জৈন্তাপুর উপজেলা।
১৭৫৭ পরবর্তী ব্রিটিশ শাসন চলাকালে সর্বশেষ স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল বর্তমান সিলেটের জৈন্তা রাজ্য। এ রাজ্যের অন্যতম রাজা বিজয় সিংহ ছিলেন স্বাধীনচেতা। ঐতিহাসিক বিবরণ অনুযায়ী রাজা ছত্রসিংহ ১৭৭০ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর ১৭৭৪ সালে যাত্রানারায়ন রাজা হন। মাত্র পাঁচ বছর রাজত্বের পর তিনি মৃত্যুবরণ করলে বিজয় সিংহ ১৭৮৫ সালে সিংহাসনে আরোহন করেন। আর এই রাজা রামসিংহের স্মৃতিবিজড়িত জৈন্তা রাজ্যের ইতিহাসের সাথে এসব শাপলা বিলের ইতিহাসও জড়িত । এখানে তিনি পাখি শিকার সহ চিত্তবিনোদনের জন্য সময় কাটাতেন । অবশেষে পারিবারিক রাজ চক্রান্তে এখানেই তিনি নৌকা ডুবিতে মারা যান যার কারনে তার সমাধী স্থলও এই বিলে।
কিন্তু প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম এই জলাশয়ে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের অধিনস্থ স্টোনক্রাশার জোন নির্মানের পরিকল্পনা হলে সাথে সাথে এর বিরুদ্ধে সোচ্ছার হন এলাকা বাসী । দাবি তুলেন পরিবেশ ধ্বংস করে এসব উন্নয়ন নয় বরং ঐতিহ্য রক্ষা যায়গাটিকে পর্যটনের আওয়তায় এনে তা রক্ষা করার । না হলে সিলেটের জাফলং , ভোলাগঞ্জ সহ অন্যান্য যায়গার মতো ধ্বংসের ধারপ্রান্তে চলে যাবে বিশেষ এই যায়গাটি।
তার কথা অনুসারে সরনাপন্ন হই সিলেটের জেলা প্রশাসকের । জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদিনও হাসি মুখে এই বিষয়ে কথা বলার সম্মতি জানান । তিনি বললেন পর্যটন বিকাশের কথা চিন্তা করে পরিবেশকর্মী ও স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে অবশেষে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা । বরং স্টোনক্রাশার জোন না করে, এখানে কিভাবে পর্যটক আকর্ষন করা যায় সেই পরিকল্পনায় এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। কেননা সিলেটের জাফলং, লালাখাল, শ্রীপুর এবং পাহাড়ি অঞ্চলের খাসিয়া পল্লীর সাথে লালশাপলার বিল যুক্ত হলে পর্যটন বিকাশে আরো সহায়ক বলে মনে করেন তারা।
এই ভাবেই জানতে জানতে শেষ করি জৈন্তা রাজ্যের লাল শাপলার কথা।
আপনার মন্তব্য