নিউজ ডেস্ক

০৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৭:৫৯

এবার অর্ধেক খরচেই এভারেস্ট জয়ের হাতছানি

মঙ্গলবার এভারেস্ট-যাত্রার জন্য ন্যূনতম ভাড়া প্রায় অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল প্রশাসন।

নতুন বছরে এভারেস্ট অভিযাত্রীদের জন্য সুখবর। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয় করতে এবার থেকে ট্যাঁকের অর্ধেক কড়ি খরচ করলেই হবে। কারণ, মঙ্গলবার এভারেস্ট-যাত্রার জন্য ন্যূনতম ভাড়া প্রায় অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল প্রশাসন। লক্ষ্য একটাই, যত বেশি সম্ভব বিদেশি অভিযাত্রীকে ৮,৮৪৮ মিটার উঁচু শৃঙ্গকে জয় করার সুযোগ দেওয়া।

এতদিন এভারেস্টে পা রাখার জন্য একজন বিদেশি অভিযাত্রীকে পারমিট ফি বাবদ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ) খরচ করতে হত। কিন্তু, ১ জানুয়ারি থেকে ওই ফি একেবারে অর্ধেক করে ১১ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার ) করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল সরকার। একইসঙ্গে, অন্য রুট দিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার পারমিট ফি মাথাপিছু ১৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করা হয়েছে। আবার অফ-সিজনে এই ভাড়াকেও অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সময়ে মাথাপিছু পারমিট ফি ১২,৫০০ থেকে কমিয়ে ৫,৫০০ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। একইভাবে, এভারেস্ট বাদে অন্যান্য শৃঙ্গগুলির ক্ষেত্রেও পারমিট ফি ব্যাপকহারে কমানো হয়েছে।

বস্তুত, বিশ্বের সর্বোচ্চ ১৪টি শৃঙ্গের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত। ফলে, বছরভরই সেদেশে অভিযাত্রীদের ঢল লেগে থাকে। আর এই অভিযাত্রীরাই নেপালের অন্যতম আয়ের উত্স। অভিযাত্রীদের ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি অনেক সময় জটিল আকারও ধারণ করে। পরিবেশবিদেরা এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগও জানিয়েছেন। অনেকের মতে, এভারেস্ট এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ আবর্জনা-স্থলে পরিণত হয়েছে। কারণ, সেখানে অভিযাত্রীদের ফেলে রাখা খাবারের প্যাকেট, গিয়ার, ফাঁকা অক্সিজেন সিলিন্ডার সবেরই শেষকৃত্য মাউন্ট এভারেস্টে।

কিন্তু, এই পরিস্থিতি হালে পাল্টে গিয়েছে। সম্প্রতি, এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু অভিযাত্রী। শুধু এভারেস্ট কেন, ওই দেশের অন্যান্য শৃঙ্গজয় করতে গিয়েও অনেক অভিযাত্রীর তুষার-সমাধি ঘটেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন অনেক ভারতীয়ও। ফলত, এখন পর্বতরোহনের গাঙে ভাটা পড়ায় মাথায় হাত নেপাল প্রশাসনের। তাই অভিযাত্রীদের জোয়ার ফেরাতে এখন ফি কমানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না কাঠমান্ডুর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত