সিলেট জেলাকে প্রাচীরের মত ঘিরে রেখেছে সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়। এই মেঘালয়ের গভীর বনাঞ্চল বেষ

২২ জুলাই, ২০১৫ ১০:৩৪

পান্তুমাই : এ যেন একখণ্ড স্বর্গ !

সামিউল্লাহ সমরাট

তেমনি এক ঝর্না, নাম পান্তুমাই। এটি এখনও অখ্যাত, খুব বেশী পর্যটক এটির রুপ এখনও অবলোকন করেন নি । পাংথুমাই দেখতে যাওয়া এক ধরনের অভিযানও বটে ।

পান্তুমাই দুভাবে যাওয়া যায় । সুবিধাজনক হচ্ছে জাফলং রুট । জাফলং মামার বাজার হয়ে পিয়াইন নদী নৌকায় পার হয়ে যেতে হয় খাসিয়াদের বাজার সংগ্রাম পুঞ্জিতে । এই বাজার থেকে পাংথুমাই প্রায় ১০ কিলোমিটার । সংগ্রাম পুঞ্জি থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে হাজিপুর বাজার। সে পর্যন্তই যান বাহন চলে। পরের পথ টুকু হাঁটতে হবে । যান বাহন বলতে মোটরসাইকেল আর শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটি । সংগ্রাম পুঞ্জির পরেনকশিয়ার পুঞ্জি , পুরো অঞ্চলটিই ঘন সুপারি বাগান আর পান গাছে ভরপুর । সরুপথের দু ধারে খাসিয়াদের সুন্দর বাড়ি ঘর। 

পাহাড়ি স্বচ্ছ জলের ছড়া পাড়ি দিয়ে গাঁয়ের মেঠো পথ, বাঁশ বাগান, হাঁটু জলের নদী পার হয়ে প্রতাপ্পুর গ্রাম । এর পরের গ্রাম পান্তুমাই। প্রতাপ্পুর গ্রাম পাড়ি দিয়ে সামনে উঁচু পাহাড় ঘেঁষে বিশালাকার এক ফুটবল মাঠ পাওয়া যায়। মাঠ পেরিয়ে কিছুটা জঙ্গল। জঙ্গলের কিছুটা এগুলেই শোনা যায় জল গড়িয়ে পড়ার কল কল শব্দ । জঙ্গলের মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে রূপবতী ঝরনা পান্তুমাই । বড় বড় পাথরের গা বেয়ে অনেক উঁচু থেকে ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মত। স্থানীয়রা ঝর্নাটিকে ফাটাছড়ির ঝর্না বা বড়হিল ঝর্নাও বলেন।


একটু দূরে বিএসএফের ক্যাম্প। বরইগাছের সারি দিয়ে এখানে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা। এখানে বিজিবির কোনো চৌকি নেই। ঝর্না ভারতের হলে পানি এসে পড়ছে আমাদের দেশে, রূপ নিয়েছে নদীর । শীতল আর কাঁচের মত পরিস্কার পানি সৃষ্টি করেছে একখণ্ড স্বর্গ টুকরো। 

পান্তুমাই যাবার অন্য রুট: সিলেট নগরীর আম্বরখানাপয়েন্ট থেকে সি এন জি ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট বাজারে থানা সংলগ্ন বাজারে যাবেন। ভাড়া পড়বে আনুমানিক ৪০০-৫০০ টাকা । সেখান থেকে আবার ট্যাক্সি নিয়ে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন এর পাংথুমাই গ্রামে যাওয়া যায় । ভাড়া পড়বে আনুমানিক ১৫০-২০০ টাকা ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত