আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৫:৫৯

টিকার প্রথম ডোজের ৮-১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ, ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য একটি নির্দেশিকা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://www.ox.ac.uk/news/2021-02-10-world-health-organization-experts-p...) গতকাল বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র একদল বিশেষজ্ঞ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও তার সহযোগী অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী, করোনার দুটি ডোজ ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরা নিতে পারবে। তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার আট থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত।

অক্সফোর্ড বলছে, এই ডোজিং পদ্ধতিটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলোতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিনেরও বেশি সময় পর, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া বা হাসপাতালে ভর্তির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

অলাভজনক ভিত্তিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে ভ্যাকসিন সরবরাহ চলছে সেটি ডব্লিউএইচও’র নতুন নির্দেশিকার পর মহামারি প্রতিরোধের ভূমিকায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি সহজেই ফ্রিজের তাপমাত্রায় (২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা যায়। এর উত্পাদন-পরিবহনও সহজ। তাই সহজেই বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় এটি সরবরাহ করা যেতে পারে। এভাবেই এই ভ্যাকসিনটি সারা বিশ্বে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।

পেডিয়াট্রিক ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির অধ্যাপক ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান তদন্তকারী অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘ডব্লিউএইচও’র কাছ থেকে পাওয়া নতুন দিকনির্দেশনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে বিশ্বের সবখানে প্রসারিত করবে এবং বিশেষজ্ঞ দলের গাইডলাইন পাওয়ায় ভ্যাকসিনটি মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করার ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে আরও সমর্থন পাবে।’

ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান তদন্তকারী সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘এটি খুব ভালো সংবাদ যে, ডব্লিউএইচও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে মানুষকে রক্ষা ও মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে এই ভ্যাকসিনটির গুরুত্ব ও ব্যবহারের পথ আরও প্রশস্ত করবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত