নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ মার্চ, ২০২১ ০২:০৫

একবছরে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ, একমাসে টিকা নিলেন ৩৮ লাখ

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে নতুন করোনাভাইরাস মহামারীরূপে আবির্ভূত হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যার বছর পূর্ণ হল রোববার। গত একবছরে বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৫ লাখের বেশি লোক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৭ মার্চ) পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০; এই সময়ে মারা গেছেন ৮,৪৬২ জন; এবং সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ৩ জন।

এদিকে, করোনা প্রতিরোধী গণটিকা কার্যক্রমের একমাসে দেশে মোট ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫২ জন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। এই এক মাসে ছুটির দিন বাদে মোট ২২ দিন মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে। এই টিকা ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।

এই টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিকে মহামারী মোকাবেলার সম্মুখযোদ্ধাদের টিকা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। সঙ্গে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে দেওয়া হয়। পরে সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের টিকা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকাদানের যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শুরুর পর জুলাই পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগী বেড়েছে। এর মধ্যে ১ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। ১৭ জুন ৪ হাজার ৮ জন এবং ২৯ জুন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এছাড়া আর কখনও দৈনিক শনাক্ত ৪ হাজারের ঘর ছাড়ায়নি।

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। ৩০ জুন ২০২০ একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জন মারা গিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটিই।

২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। গত এক বছরে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ২০৫টি। এরমধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ সংখ্যার ১৯ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত