নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:০০

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন, চলছে গণনা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

সারা দেশে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ফল গণনা।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

ভোট চলাকালীন সময়ে সারাদেশে সহিংসতায় প্রায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শতাধিক কেন্দ্র দখলের অভিযোগও রয়েছে।

কুমিল্লা-১১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফরিদপুর ২ (নগরকান্দা–শালথা) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন।

এই সব আসনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে তারা নির্বাচন বর্জন করেছেন।

নির্বাচনে নিবন্ধন না থাকলেও বিএনপির প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ প্রার্থী ও ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সারা দেশের ২৯৯টি আসনে এবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন।

এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি, ভোটকক্ষ ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি, মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭, পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫, নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২, অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩৯, মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮৬১, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮।

ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত ফোর্স সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার। এর মধ্যে পুলিশ প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। সেনাবাহিনী (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ৩৮৯টি উপজেলায় ৪১৪ প্লাটুন, নৌবাহিনী ১৮টি উপজেলায় ৪৮ প্লাটুন, কোস্টগার্ড (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ১২টি উপজেলায় ৪২ প্লাটুন, বিজিবি (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ৯৮৩ প্লাটুন, র‌্যাব (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) প্রায় ৬০০ প্লাটুন ভোটের মাঠে নিয়োজিত আছে।

এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা (র‌্যাবসহ) প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার), এ ছাড়া সারা দেশে জেলা ও মেট্রোপলিটনে পুলিশের টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।

নির্বাচনে নিয়োজিত ১ হাজার ৩২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন, অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন, ১২২টি ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪ জন।

এবার ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক। নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৪০ হাজার ১৮৩ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২ জন এবং পোলিং কর্মকর্তা ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন।

নির্বাচনে দেশি ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন এবং ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক/বিদেশি মিশনের কর্মকর্তা ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস/হাইকমিশন বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত