ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ

০৮ জুন, ২০২৩ ২০:৫১

কথিত মধ্যস্থতায় বিভ্রান্তি ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের শক্তি

আমির হোসেন আমু ও ওবায়দুল কাদের

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বললেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে সংলাপে বসতে রাজি আছে আওয়ামী লীগ।

আমু ভাইয়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বললেন, তার (আমু ভাইয়ের) এই বক্তব্য একান্তই তার নিজের, এ ব্যাপারে দল বা সরকারের মধ্যে কোন আলাপ হয়নি, এমনকি ১৪ দলের সাথেও এটা নিয়ে কোন আলাপ হয়নি।

আবার ভিন্ন আরেক আলাপচারিতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বললেন, সংলাপের কোন বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের একেকজনের এহেন একেক রকম আলাপে বিএনপি নেতারা বললেন, বিদেশিদের চাপে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এলোমেলো বকছে আওয়ামী লীগের নেতা মন্ত্রীরা।

আসলেই তো। আওয়ামী লীগের নেতামন্ত্রীরা কেন এমন অসংলগ্ন সমন্বয়হীন এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছেন? এতে দলের কর্মীদের মধ্যে কি অনর্থক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না?

আমু ভাই-ই বা কেন হঠাৎ করে আবার সংলাপের আলাপ টেনে আনলেন? (যদিও দেখলাম পরে এক বক্তব্যে আমু ভাই ইউটার্ন নিয়ে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নাকচ করে দিয়েছেন।)

অন্য নেতা বা মন্ত্রীরাই বা প্রকাশ্যেই কেন তার (আমু ভাইয়ের) পক্ষে বা বিপক্ষে বলছেন?

আমরা মনে করি, আদৌ কি বিএনপি এখন পর্যন্ত এমন কোন চাপ তৈরি করতে পেরেছে যে তাদের সাথে সংলাপে বসতে হবে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বক্তব্যে যথার্থই বলেছেন, দেশে এখনও এমন কোন সঙ্কট তৈরি হয়নি যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে সংলাপে বসতে হবে। মার্কিনিদের চাপেও বা কেন সংলাপে বসতে হবে?

এতদিন ধরে বলে আসছেন যে সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে তাহলে এখন কেন আবার সংলাপের আলাপ টেনে আনছেন?

নেত্রী যথার্থই বলেছেন, 'দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক মাথা নত করব না। আওয়ামী লীগ কারো কাছে মাথা নত করবে না।'

আমরা তৃণমূলের কর্মীরা নেত্রীর কথাতেই আস্থা রাখতে চাই। এখন প্রয়োজন শুধু একতা। জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে যত ষড়যন্ত্রই হোক ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে এমন কোন শক্তি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে জন্মাতে পারেনি।৬

আমরা স্মরণ করতে চাই, একাত্তরেরও বিএনপি-জামায়াতের পূর্বসূরিরা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছিল, তখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছিল। তখনও তারা আওয়ামী লীগকে হারাতে পারিনি, এবারও পারবে না, ইনশাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত