সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০১ এপ্রিল, ২০১৬ ০২:৫০

ভারতের বিদায়ে ফেসবুকে উল্লাস

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ইংল্যান্ড হারালেও সাড়াশব্দ ছিল না ফেসবুকে। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ফেসবুকে উল্লাস চলছে। অনেকেই একে চিহ্নিত করছেন এই মুহূর্তে স্বয়ং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষদের চেয়েও আজ বাংলাদেশ বেশি খুশি হিসেবেও।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ভারতের ১৯২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাটিতে ভারতের এ হারে স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম, কিন্তু ফেসবুকপাড়ার বাংলাদেশ স্টেডিয়াম যেন নতুন রূপ ধারণ করে।

সাংবাদিক জাহিদ নেওয়াজ খান লিখেন,

বাঙালি মধ্যবিত্ত কখন পর্যন্ত স্বমেহনের আনন্দ উপভোগ করে? যতোদিন না তার বিয়ে হয়। কখন তার বিয়ে হয়? এডাল্ট হলেও যতোদিন না সে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার 'যোগ্যতা' অর্জন করে। আশা করি সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন 'বিশ্বকাপে' আমরাও ৩ বলে ২/৩ রান করার মতো যোগ্যতা অর্জন করে নিজেদের প্রকৃত জয়ের আনন্দে ভাসতে পারবো।

সাহিত্যিক রেজা ঘটক লিখেন,

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠায় আমার মনে হয় এই মুহূর্তে স্বয়ং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষদের চেয়েও আজ বাংলাদেশ বেশি খুশি। আর ভারতের প্রতি এই সমর্থনহীনতার জন্যই তারা নিজেরাই সেই রাস্তা তৈরি করেছে। ক্রিকেটকে ঘিরে বাংলাদেশের এই অবস্থান সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকেই। আইসিসি'র চলমান বাংলাদেশ বিরোধী বিরূপ আচরণের ভেতরে ভারতের মোড়লীপনার অনেক সুস্পষ্ট নজিরও দেখা যায়। অতএব এমন সুন্দর আবহাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় বাংলাদেশকে এক ধরনের ফুরফুরে মেজাজ দেবে এটাই স্বাভাবিক। সরি, ফর এমএস বাহিনী!!

প্রবাসী লেখক ফরিদ আহমেদ লিখেন,

আমরা যখন গত বছর বলেছিলাম যে একটা নো বলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল আমাদের ম্যাচ, তখন আমাদের মুখের উপরে বিদ্রুপ করা হয়েছিল। একটা মাত্র বাজে সিদ্ধান্তে কেউ হারে নাকি? আর আজ ভারত হেরে গেলো সামান্য দুটো নো বলের কারণেই।

তবে, এই নো বলের কাহিনিতে বিরাট পার্থক্য আছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেওয়া নো বলটা নো বল ছিল না। ছিল জেনুইন ডেলিভারি। ভারতের বিরুদ্ধে দেওয়া দুটো নো বলই জেনুইন নো বল ছিল।

সাংবাদিক ফারজানা প্রিয়দর্শিনী আফরিন ফেসবুকে বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস দেখে নিজের টাইমলাইনে লিখেন,

খেলাটা আজ ইন্ডিয়া বনাম বাংলাদেশ ছিল!!!

সঞ্জয় দে লিখেন,

শেষ পর্যন্ত বুঝা গেল কমিটির টিমও ( টিম ইন্ডিয়া) হারে, শুধু হারাতে জানতে হয়! অভিনন্দন সামিদের, বিরাট কাজ করেছ মাইরি!

মামুনুর রশীদ লিখেন,

আহারে অনেকদিন পর জামাত বি এন পি আওয়ামীলীগ বাম সুশীল সবাইকে ভারতের পরাজয়ে খুশি হতে দেখে ঐক্যবদ্ধ বাঙালীর যে চিত্র দেখলাম তাতে খুবই প্রীত হলাম।ভারত যদি প্রতিনিয়ত হারে তাহলে দ্বিধাবিভক্ত বাঙালীর শীঘ্রই ঐক্য সম্ভব।হে প্রভু আমাদের জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে ভারত যেন নিয়মিত পরাজয় বরণ করে।আমিন।

অরূপ দাস লিখেন,

১৯৩ রান নিতে ইন্ডিয়া দৌড়াদৌড়ি করে হাফাইলো...আর ওয়েস্টইন্ডিজ!!!! এই রান লইলো জায়গায় দাড়াই দাড়াই খালি চার ছয় মাইরা...

দেবরাজ চৌধুরী ফেসবুকে লিখেন,

ওয়েস্ট ইন্ডিজ কি খেয়ে এসেছেন নাকি গিয়ে খাবেন!

সনেট দেব চৌধুরী লিখেন,

গায়ের জোরে জেতা বেশি যে স্থায়ী থাকেনা তারা কেন যে বুঝে না। শেষ পরিনতি যে কি হলো হারতে হলো। অভিনন্দন ওয়েস্টইন্ডিজ অভিনন্দন।

ব্যাংকার রাশেদ রনী লিখেন,

কি দিন আইলো রে ভাই, বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে চলে আসার পরও বাংলার ঘরে ঘরে আজ চাঁন্দ রাইতের আনন্দ। অভিনন্দন ক্যারিবিয়ানস

জনাব শাহাদাত রাসএল ফেসবুকে লিখেন,

ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাকি আজকে আইসিসিকে ছক্কা মেরে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বের করে দিলো !!

কি আজিব ঘটনা ।

এখন যদি আইসিসি ক্রিস গেইলসহ পুরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়?

২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে রুবেলের বলে রোহিত শর্মার আউট না হওয়া নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায়। আম্পায়াররা নো ডাকে ওই বলে। এরপর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ১ রানে হেরে সুপারটেন থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এর আগে এ টুর্নামেন্টের শুরুতে ভারতীয় আম্পায়ার এস রাভি এবং অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার রড টাকারের সন্দেহভাজন বোলিং একশন এমন রিপোর্টের সূত্র ধরে ভারতের চেন্নাইয়ের এক ল্যাবে পরীক্ষা দিয়েও নিষিদ্ধ হন পেসার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি।

বাংলাদেশের দুই বোলারকে বিশ্বকাপের মাঝপথে এমন অভিযোগ দিয়ে আইসিসির এ সিদ্ধান্তের কারণের বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা নাখোশ আইসিসির ওপর।

উল্লেখ্য, আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর ভারতীয়, এবং আইসিসির প্রেসিডেন্ট জহির আব্বাস পাকিস্তানি নাগরিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত