সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৮ মে, ২০১৬ ১৫:৩৫

আন্দোলনকারীরাই জানেন না কি আছে শিক্ষানীতিতে (ভিডিও)

বাংলাদেশের চলমান শিক্ষানীতিকে 'ধর্মহীন ও হিন্দুত্ববাদী' আখ্যা দিয়ে কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনে নেমেছে।  তাদের দাবি এই শিক্ষানীতি বাতিল করে ইসলামী ভাবধারার শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। তবে কি কারণে চলমান শিক্ষানীতি ধর্মহীন, আপত্তি করার মত কি আছে শিক্ষানীতিতে তা জানেন না এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরাই।

গত শুক্রবার (২৭ মে) শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে একটি মিছিল করে সেই মিছিলের একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ নেতা ইসলামুল হক ইমন আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন করছেন কি আছে শিক্ষানীতিতে? তবে তারা কেউই উত্তর দিতে পারেন নি।

ভিডিওতে দেখা যায় প্রথম একজনকে প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন আমি জানিনা, হাতের ইশারায় অন্য একজনকে প্রশ্ন করতে বলেন তবে তিনিও উত্তর দিতে পারেন নি। এভাবে মিছিলে অংশ নেয়া আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজনকে প্রশ্ন করা হলেও কেউই উত্তর দিতে পারেন নি।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন -  এখানে

ভিডিওটি পোস্ট করে ইমন লিখেছেন-

চলছে চলমান শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন। আমি বসে আছি হলের ছারপোকা ভরা বিছানাটিতে। সবে হলের ঐতিহাসিক ক্যান্টিনের তেল দিয়ে রান্না করা এক টাইপের ভাত খেয়ে আসলাম, সেই তেল ঘাম হয়ে বেয়ে বেয়ে পড়ছে শরীর থেকে। এর মধ্যেই কানে ভেসে এলো, ‘হিন্দুত্ববাদী’ শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে মাইকের আওয়াজ, স্লোগান ইত্যাদি ইত্যাদি।

বারান্দায় গিয়ে গলা ফাটিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই শিক্ষানীতির এই জিনিসটা কি?”
কয়েকজন দেখলাম এলিয়েনের দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে সামনে চলে গেলো। আমি চূড়ান্ত মজা পেয়ে ক্যামেরাটা নিয়ে নেমে গেলাম আন্দোলনকারীদের মধ্যে। শিক্ষানীতি জিনিসটা কি তা না জেনে আজকে ছাড়বো না।

কতজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেউ বলতে পারলো না রে মমিন! বাকিটা ইতিহাস!"



শুক্রবার বিকেলে ফেসবুকে এই ভিডিওটি পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওটি শনিবার পর্যন্ত ২১ হাজার মানুষ দেখেছেন।

ইমনের পোস্ট করা লিংকে জাহিদ হাসান হিমু নামের একজন মন্তব্য লিখেছেন, "কান নিয়ে গেছে চিলে এরা চিলের পিছেই ছুটে কানের খোজ রাখে না"।

মোহাম্মদ ইউসূফ  নামের একজন লিখেছেন, "কওমি মাদ্রাসা, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কে কোথায় নিয়ে যাবে তা চিন্তা করে দেখা সময় এসেছে, বাংলাদেশের এই মাদ্রাসার পরিচালকের আসনে যারা আছে তাদের কে দিয়ে রাওয়ালপিন্ডি তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, এসব মিছিলে কিছু যায় আসে না, রাওয়ালপিন্ডির প্রথম এজেন্ডা, প্রতিটি ইউনিয়নে চারটি করে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা, যারা কওমি মাদ্রাসায় পড়বে তাদের কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো, তাদের কে তালেবানি আদর্শে প্রশিক্ষণ দিয়ে এদেশে পাকিস্তানপন্থী প্যারালাল বাহিনী গঠন করা, মূলকথা হচ্ছে এই কওমি মাদ্রাসা বাংলাদেশর জন্য, গুদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে ।"


ভিডিও : আন্দোলনকারীরাই জানেন না কি আছে শিক্ষানীতিতে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত