সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০২ জুন, ২০১৬ ১৮:৫৫

মুস্তাফিজকে ‘তুমি’ সম্বোধন, অনলাইনে মুন্নী সাহার সমালোচনা

মাত্র ১ বছরের ক্যারিয়ারে (চলমান) সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে দেওয়া ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের এক সাক্ষাৎকারকে ঘিরে অনলাইনে চলছে ব্যাপক বিতর্ক-সমালোচনা। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মুস্তাফিজ নন, সমালোচনার মুখে পড়েছেন এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা।

সিনিয়র এ সাংবাদিক মুস্তাফিজকে সাক্ষাৎকারে  ‘তুমি’ সম্বোধন করায় মূলত এ সমালোচনার সূত্রপাত। এছাড়াও আছে নানাবিধ প্রশ্নে যাতে মুস্তাফিজ নিজেই বিব্রত হয়েছেন দৃশ্যমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

অনলাইনে ভাইরাল হয়ে ওঠা এ ভিডিও সম্পর্কে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির নিউজ এডিটর রফিকুল রনজু সমালোচনা করে লিখেছেন, আই অ্যাম জিপিএ ৫ নিয়া বহু ঠাট্টা করা হইছে, হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক একজন খেলোয়াড়কে মিডিয়াতে এভাবে 'তুমি' সম্বোধন করাটা কোন শিক্ষা?

এ সাংবাদিক প্রশ্ন রেখে আরও লিখেন, 'ছোট মানুষ' বলে, বয়স মুন্নী সাহার চেয়ে কম বলেই কি 'তুমি'? এভাবে দেখলে তো জাতীয় দলের সবার বয়সই মুন্নী সাহার চেয়ে কম! এমনকি বিশ্বের কোনো দলে কি মুন্নী সাহার চেয়ে বেশি বয়সী বা সমবয়সী কেউ আছে? দু-একটি দেশের সরকারপ্রধানের বয়সও তো মনে হয় মুন্নী সাহার চেয়ে কম আছে!

প্রবাসী লেখক ফরিদ আহমেদ মুস্তাফিজের সে সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত সাংবাদিকের নেওয়া সাক্ষাতকার এটি। হোম সিক একটা ছেলেকে দুই মিনিটের কথা বলে, অদ্ভুত অদ্ভুত সব বোকামিতে ভরা প্রশ্ন করে যাচ্ছেন তিনি ক্রমাগত। পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান, মুস্তাফিজ কথা চালিয়ে যেতে অনিচ্ছুক।

ফরিদ আহমেদ আরও লিখেন, এমনকি এক পর্যায়ে সে বলতে বাধ্য হয়েছে যে, দুই মিনিটের কথা বলেছেন, এবার আমাকে একটু রেহাই দেন। তারপরেও সাংবাদিক ভদ্রমহিলার কোনো বিকার নেই। তিনি তাঁর বোকা বোকা প্রশ্নগুলো করেই যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজকেই সৌজন্যতার বেড়া ডিঙিয়ে মুখের উপরে উঠে যেতে হয়েছে।

সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন রেখে ফরিদ আহমেদের প্রশ্ন, বাংলাদেশে কি সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার নীতিমালা শেখানো হয় না? নাকি, যাঁর ইচ্ছা যা, সে তাই করতে পারে? এরাই আবার বাচ্চাদের সাধারণ জ্ঞানের দুর্দশা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা-তামাশার প্রোগ্রাম করে। আজব! নিজেদেরই তো সাধারণ কাণ্ড-জ্ঞান নেই এদের।

ভিডিও :

আপনার মন্তব্য

আলোচিত