সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৮ জুন, ২০১৬ ২০:১৫

ফাহিমের বলা স্থানীয় ঐ নেতা কি পুলিশের জন্যে বিব্রতকর ছিলো?

শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদারীপুরের কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের মামলায় রিমান্ডে থাকা গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন। গুরুত্বপূর্ন মামলার এই আসামী রিমান্ডের প্রথম দিনেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নেপথ্যের হোতাদের তথ্য আড়াল করতে কি পুলিশ ফাহিমকে 'সরিয়ে' দিল, এমন প্রশ্ন তোলছেন মানুষ।

এই বিষয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী প্রশ্ন তোলেছেন, "আদালতে বিচারককে সে চিৎকার করে বলে এই ঘটনার সংগে সে জড়িত না। স্থানীয় এক নেতা তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।  পুলিশ তাকে মেরে ফেললো ক্রসফায়ারে? স্থানীয় যে নেতার কথা ফাহিম বলেছিল সে কী পুলিশের জন্যে বিব্রতকর ছিলো?"

বারী লিখেন:

আমাদের ভালো ইচ্ছাগুলোকে করে দেয়া হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ! মাদারীপুরে ধরা ফাহিম ছেলেটির রিপোর্টে পড়ছিলাম তাকে নিয়ে নানা জায়গায় অপারেশনে গিয়ে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাচ্ছিলোনা! আদালতে বিচারককে সে চিৎকার করে বলে এই ঘটনার সংগে সে জড়িত না। স্থানীয় এক নেতা তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সাধারণত কোন জংগী এভাবে কোর্টে বলেনা। কিন্তু পুলিশ তাকে মেরে ফেললো ক্রসফায়ারে? স্থানীয় যে নেতার কথা ফাহিম বলেছিল সে কী পুলিশের জন্যে বিব্রতকর ছিলো? সাধারণত দেখবেন গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবার ঘটনাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থাকেনা।

 


উল্লেখ্য, মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী কলেজগেট সংলগ্ন ভাড়া বাসার একটি ছোট কক্ষে একা থাকতেন।

গত বুধবার দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে বাসায় ঢোকার সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৩ যুবক তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

শিক্ষকের চিৎকারে কলেজগেট এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে ফাহিমকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত