সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৬ ১৭:০২

‘পৃথিবীর যে-কোনও শহরে একদিন ঠিক এভাবেই মারা যাব আমরা’

বিশ্বব্যাপী ধারাবাহিক জঙ্গি হামলায় আতংকগ্রস্থ মানুষ। সিরিয়া, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বাংলাদেশ। কোথাও বেশি, কোথাও কম। জঙ্গিদের এসব হামলায় মারা যাচ্ছে নিরীহ মানুষ। বাংলাদেশের গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্রান্সের বাস্তিল দিবসে নিস শহরে আরও এক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ৮৪ জন। এবারের হামলার ধরনটি একটু ভিন্ন। এবার উৎসবরত মানুষের উপর ট্রাক চালিয়ে দেয় তিউনেশীয় বংশোদ্ভূত হামলাকারী। পুলিশের গুলিতে নিহত হবার পর দেখা যায় সেই ট্রাক ভর্তি গ্রেনেড ও অস্ত্র।

এই নৃশংস হামলার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নিন্দা জানাচ্ছেন, জানাচ্ছে হতাশা, আক্ষেপ কিংবা সামনের দিনগুলোর অনিশ্চয়তার কথা। পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন-  যেকোনো একদিন এভাবেই পৃথিবীর যেকোনো শহরে মরে পড়ে থাকব আমরা।


শ্রীজাত লিখেছেন:

একদিন রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ব আর হঠাৎ পিঠে বিঁধে যাবে এলোপাথাড়ি বুলেটের কোনও একটা। একদিন বইমেলা থেকে ফেরার সময় ঘিরে ধরে চাপাতি দিয়ে নামিয়ে দেবে মাথা। একদিন কোনও রেস্তোরাঁয় মাথায় নল ঠেকিয়ে ধর্মের বুলি মুখস্থ শোনাতে বলবে, পারব না। একদিন শপিং মলে কফি খেতে গিয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাব বোঝার আগেই। একদিন প্লেনসুদ্ধ ঢুকে যাব কোনও এক হাইরাইজে। একদিন বাড়িতে এসে ডোর বেল বাজিয়ে মেরে রেখে যাবে। পৃথিবীর যে-কোনও শহরে একদিন ঠিক এভাবেই মারা যাব আমরা। যে-কোনও দিন। আর যদি না যাই, বেঁচে থাকব প্রতিনিয়ত বাকিদের মৃত্যু মেনে নিতে নিতে। সেও কিছু কম মরা নয়। দুটোই তাহলে মৃত্যু। অর্থহীন মৃত্যু। জীবন নেই কোথাও।

প্রসঙ্গত, গত ৪ বছরে ফ্রান্সে অন্তত ৫টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসের একাধীক স্থানে একসাথে হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত। হামলায় দায়ও স্বীকার করে নেয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত