সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৩ আগস্ট, ২০১৬ ২০:৫৮

রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য পাল্টে নিলেন এমাজউদ্দিনও!

মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্যতম পরামর্শক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। তবে পরে চাপের মুখে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে বলে দাবি করেন করেন ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য।

ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আব্দুল করিম কিম অধ্যাপক এমাজউদ্দিনের এই ‌'অবস্থান পাল্টানোর' সমালোচনা করেছেন।

 ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে কিম লিখেছেন-

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন । তিনি দেশের অন্যতম রাষ্ট্রবিজ্ঞানি । গতকাল তিনি একটি রাজনৈতিক দলের জঙ্গিবাদ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান কালে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসাবে 'জামাত' নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন।

ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বললেন, জামায়াত আর বিএনপির সম্পদ নয় বরং বোঝা, তাই খুব দ্রুতই এ বোঝাকে ঘাড় থেকে নামিয়ে দেয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে ভিন্নমত ভুলে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। এখানে জাতীয় ঐক্যের জন্য জামায়াতকে বিএনপি বাদ দেবে। তাহলে তো জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলো না।

তাঁর এ বক্তব্যে জামাত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালো। বিএনপি তাঁর বক্তব্যকে আমলে নিলো না। তাই তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসলেন। রাজনৈতিক নেতাদের মত দিনকে রাত করার প্রচলিত প্রথার আশ্রয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন। মিডিয়া তাঁর বক্তব্য সঠিকভাবে পরিবেশন করে নাই বলে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে বিএনপি যে জামাতকে শেষ পর্যন্ত ছাড়বে না সেটাই বলতে চাইলেন।

শত শত শ্রোতার সামনে, অসংখ্য টিভি ক্যামেরার সামনে দেয়া রেকর্ডেড স্পষ্ট বক্তব্যকে অস্বীকার করার নজির রাজনৈতিক নেতদের জন্য ডালভাত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হিসাবে ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ-এর এই কাণ্ডে গভীর ভাবে হতাশ হয়েছি । কিছুদিন পূর্বে বেসরকারী বিশবিদ্যালয় সমুহের মধ্যে বেশি বেশি সুনাম থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়-এর ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্যকে জঙ্গিদের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় । চলমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনের অসংখ্য অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। তাই বলতে হয়, শুধু মাছের পচনটা মাথা থেকে শুরু হয় না, জাতির পচনও শুরু হয় মাথা থেকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত