সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৬ ২২:১৫

‘কাজের বেলায় লবডঙ্কা, প্রমাণ মার্গারিটা’

রিও অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসে (রিদমিক) অংশ নিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী মার্গারিটা মামুন রিটা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পারেন নি। মার্গারিটা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারেন নি- এনিয়ে হতাশা ঝরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে। এটা নিয়ে লিখেছেন আজম খান।

আজম খান ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেন, আহা, আমার বাংলাদেশ। কাগজপত্রের জটিলতা ছুটাতে পারে নাই বলে মার্গারিটাকে রাশিয়ার হয়ে খেলতে হচ্ছে।

তিনি আমলাদের সমালোচনা করে আরও লিখেন, এমন কর্মদক্ষতা সম্পন্ন আমলা পৃথিবীর আর কয়টা দেশে পাবেন, বলেন? ঘি চর্বি খাইতে খাইতে পেটটাই যা মোটা হয়েছে স্যারদের (আমলাদের অধিকাংশ স্যার না বললে মাইন্ড করে)। কাজের বেলায় লবডঙ্কা। প্রমাণ মার্গারিটা।

আজম খান লিখেন-

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্গারিটা এবারের অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতার হট ফেভারিট। ইতিমধ্যে তিনি হিটে প্রথম হয়েছেন।

আশা করা যায়, চূড়ান্ত পর্বেও তার এই সাফল্য অব্যাহত থাকবে। মার্গারিটা জন্মেছেন মস্কোতে। বাবা বাংলাদেশি, মা রাশিয়ান।

জুনিয়র পর্যায়ে কিছুদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। পরে সিনিয়র পর্যায়ে তাকে রাশিয়ার হয়ে খেলতে হয়েছে।

গতকালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার করা এক পোষ্ট থেকে জানতে পারলাম অলিম্পিকে মার্গারিটার বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা হয়ে উঠেনি।

আহা, আমার বাংলাদেশ। কাগজপত্রের জটিলতা ছুটাতে পারে নাই বলে মার্গারিটাকে রাশিয়ার হয়ে খেলতে হচ্ছে।

এমন কর্মদক্ষতা সম্পন্ন আমলা পৃথিবীর আর কয়টা দেশে পাবেন, বলেন? ঘি চর্বি খাইতে খাইতে পেটটাই যা মোটা হয়েছে স্যারদের (আমলাদের অধিকাংশ স্যার না বললে মাইন্ড করে)। কাজের বেলায় লবডঙ্কা। প্রমাণ মার্গারিটা।

উল্লেখ্য, ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্গারিটা রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছেন। শীর্ষে থেকেই হিট শেষ করেন বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়েও এক নম্বরে থাকা এই জিমন্যাস্ট।

২০১৫ মস্কো গ্রাঁ প্রিঁ-তে অল-রাউন্ড ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করা রিটা অলিম্পিকের এবারের আসরে নিজের চার ইভেন্ট হুপে ১৮.৮৩৩, বলে ১৯.০০০, ক্লাবে ১৭.৫০০ ও রিবনে ১৯.০৫০ একক অলরাউন্ডে মোট ৭৪.৩৮৩ পয়েন্ট পেয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আরেক রাশিয়ান আনা কুদ্রায়াতেভা। তার মোট পয়েন্ট ৭৩.৯৩২।

‘বাংলার বাঘিনী’ খ্যাত রিটার বাবা বাংলাদেশি। রিটার বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহীর সন্তান তিনি। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার ডিগ্রিধারী। মা রাশিয়ান, আন্না। তারা এখন সপরিবারে রাশিয়াতেই থাকেন। তার মা সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্ট, তার হাত ধরেই এই খেলায় হাতেখড়ি রিটার। পরে সেখান থেকে এ বছর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন তিনি।

এর মধ্যে জিতেছেন রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্ট দলের প্রধান কোচের মনও। আর তাই তো সে কোচ রিটার নাম দিয়েছেন ‘দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস’ বা ‘বাংলার বাঘিনী’। তার এই বিশেষ নামটি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়, সঙ্গে উইকিপিডিয়াতেও।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত