সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০২:৪৮

সম্মেলনের আগে হঠাত সরব সোহেল তাজ, ফেসবুকে আলোচনার ঝড়

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির বাইরে থাকা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীনপুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অনলাইন জুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে। সোহেল তাজ কি ফিরছেন রাজনীতিতে- এমন আলোচনায় চলছে সবখানে।

আগামী ২২-২৩ অক্টোবর দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনের আগে ১৪ অক্টোবর সোহেল তাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরামর্শ চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ নিয়ে ৪ দিন ধরে অনলাইনে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সোহেল তাজের আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তাঁকে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।

এদিকে, তাঁর প্রথম স্ট্যাটাসের অভাবিত সাড়া পাওয়ায় পরের দিন (১৫ অক্টোবর) অপর এক স্ট্যাটাসে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেন, "সবাইকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য এবং পরামর্শের জন্য। আমি আপনাদের সকল মন্তব্য গুলো মনোযোগের সাথে পরেছি। তার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মেসেজ পেয়েছি যা পরবর্তীতে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব। "

রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর ও প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা সোহেল তাজ তাঁর প্রথম স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘প্রিয় বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা, অনেকদিন ধরেই দেশে আছি এবং বাংলাদেশের লাখো মানুষের জন্য সার্থক কোনো কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছাটা তীব্র হচ্ছে। সমান সুযোগ, সম-অধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বপ্নে বহু মানুষের ত্যাগ-সংগ্রামে তৈরি এই দেশ।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আপনারা জানেন যে, রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের জন্য কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমি। রাজনীতিতে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে ২০১২ সাল পর্যন্ত আমি তা চালিয়ে গেছি। দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম, পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলাম। তবে সব ধরনের কাজের মধ্যে সবচেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি সরাসরি সাধারণ মানুষের কল্যাণ করার মাধ্যমে। এ কারণে আমার সময়, শ্রম দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’

তিনি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের মতো জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন।

সম্মেলনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে ফেসবুকে দেওয়া এ স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই আশাবাদী হয়েছেন। অনেকেই অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁকে ফিরে আসার জন্যে।

নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় কমেন্টে লিখেন, "আপনার মতো বাংলাদেশের প্রয়োজন। দেশের প্রয়োজনেই ফিরে আসুন। আপনার জন্য আমরা প্রতীক্ষারত।"

সামছুল ইসলাম মঞ্জু লিখেন, "ফিরে আসুন...তরুণ প্রজন্ম দেখুক সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি!"

মুন্সি জাকির হোসেন লিখেন, "জাতির জনক এবং জাতীয় চার নেতার স্বপ্নের বাংলাদেশ এটাই চাওয়া। এই মুহুর্তে যোগ্য , ডাইনামিক পলিটিকাল লিডারশীপের দুর্যোগ চলছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশে পাশে অযোগ্য লেকে লোকারণ্য, আপনি ফিরে আসুন, আগামী এক দশকে বাংলাদেশ বিনির্মাণে আর একটু ত্যাগ স্বীকার করুন।"

নাসিরুল সুজন নামের একজন কমেন্টে লিখেন, "স্যার, তরুণদের জন্য এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যাতে তারা নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদে রূপান্তর করতে পারেন। যেখানে নৈতিকতা, সততা, ন্যায় ও নিষ্ঠার চর্চা হবে। আর এসব করতে আপনি নিজেই একজন রোল মডেল। এদেশে আর কোন জঙ্গিবাদ নয়, নারীর প্রতি সহিংসতা হোক বন্ধ ও শিশু হয়রানী রোধ হবে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত