সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ২৩:০৭

টেন্ডার চাঁদা তদবির কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি: সিদ্দিকী নাজমুল

চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে দুদকের তদন্তে নামার খবরে ‘নিজের প্রতি ঘেন্না হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বলছেন, দায়িত্বে থাকার সময় টেন্ডার চাঁদা তদবির কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি। তারপরেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলম সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

‘সম্রাট ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল এই কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে’, এমনই মন্তব্য তার।

সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো। উল্লেখ্য, স্ট্যাটাসে বেশ কিছু ভুল বানান থাকায় সেগুলোই কেবল সংশোধন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের দায়িত্ব ছেড়েছি প্রায় চার বছর। এতদিন যাবত দেশের বাহিরেই থাকি। মাঝখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সব মিলিয়ে তিন/ চার মাস দেশে ছিলাম। দায়িত্বে থাকার সময় টেন্ডার চাঁদা তদবির কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি। তারপরেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে।

কোন অন্যায় না করে এত বড় কষ্টের দায় কেন নিতে হচ্ছে জানিনা। কষ্ট পাচ্ছিনা নিজের প্রতি ঘেন্না হচ্ছে। এই চার বছরে ধার করেছি প্রায় অনেক টাকা; আমার পাওনাদারও আছেন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছি ফেরত দিবো বলে তারাও ত্যক্ত বিরক্ত আমার প্রতি।

তবে কি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের সাথে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিলো এই কারণেই আমার শাস্তি? সম্রাট ভাই আমাকে আদর করতো স্নেহ করতো। রাজনীতির মাঠেই তার সাথে আমার সম্পর্ক হয়েছিলো।

সম্রাট ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো এই কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এম পি মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে কারণ...#প্রায় সব্বাই দুধে ধোয়া তুলসীপাতা।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ক্যাসিনো চালানো ও অবৈধ সম্পদ অরজনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগ নেতা সম্রাটসহ আরও বেশ কয়েকজনকে। এরই অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধান টিমের প্রাথমিক তদন্তে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। সে অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত