সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০৮

রাব্বানীর দুঃখপ্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের ওপর ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ ও ছাত্রলীগের হামলার পর তার দেওয়া এক মন্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন গোলাম রাব্বানী। রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে গোলাম রাব্বানী এই দুঃখপ্রকাশ করেন। একই সঙ্গে রোববারের ওই ঘটনার নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগকেও অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের পদ হারানো এই নেতা।

ফেসবুকে গোলাম রাব্বানী লিখেন-

আমি চোখের সমস্যার কারণে বিগত এক সপ্তাহ যাবত বাসাতেই অবস্থান করছি। গতকাল দুপুর পৌনে একটার দিকে আমাদের ডাকসুর ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে কথোপকথন থেকে জানতে পারি ভিপি নুর গ্রুপের সাথে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সদস্যদের মারামারি চলছে।

নূরের সাথে থাকা ৫০-৬০ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভবনের প্রবেশ গেটে ও ভিতরে অবস্থান নিয়েছে এবং আমাদের ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিনা অর্নি এবং রাইসা নাসের ভিতরে আটকা পরেছে। স্বভাবতই অজানা আশংকা থেকে আমি অসুস্থতা নিয়েও ক্যাম্পাসে ছুটে যাই। যানজটে বিলম্ব হওয়ায় মারামারি শেষ হবার বেশ কিছুক্ষণ পরে ডাকসুতে পৌঁছাই। ততক্ষণে আমাদের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী স্যার এসে অর্নি ও রাইসাকে উদ্ধার করেন এবং মারামারিতে আহতদের নিজ দায়িত্বে ডিএসসিতে পাঠান।

সেখানে উপস্থিত কয়েকটি মিডিয়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে শুরুতে বলি, 'আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না। মারামারির আদ্যোপান্ত আমার আমার জানা নেই। তবে ভিপি নূর হামলা বা ঘটনার বিষয়ে ডাকসুর কারো সাথে কথা না বলে ৫০-৬০ জন বহিরাগত এনে যেভাবে ডাকসু ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং যেখানে যে অরাজকতা হয়েছে, সেগুলো মেনে নেয়া যায় না।

'নূর আহত না নিহত মুখ্য না, সে কাউকে না জানিয়ে ডাকসুতে বহিরাগত নিয়ে এসে কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো?' ডাকসুর দুই ছোটবোন অবরুদ্ধ থাকা নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকেই মন্তব্যটি করেছিলাম, যা ডাকসুর জিএস হিসেবে আমার বলা উচিত হয় নাই। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

তবে উক্ত ঘটনায় বরাবরের মতই, ছাত্রলীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ও ঢাবির সিনেট সদস্য সঞ্জিত চন্দ্র দাস মারামারির কথা শুনে ভিপি নুরকে উদ্ধার করতে সেখানে গিয়েছিলো। নুরের সাথে থাকা সহযোগীদের অসৌজন্যমূলক আচরণে ও তির্যক মন্তব্যে তারা ফিরে আসে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

তবুও যা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। উক্ত অনভিপ্রেত ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত