সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

০২ জানুয়ারি, ২০১৮ ১২:০৫

দুর্ঘটনায় পড়লে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনবে হেলমেট!

বাইকের সঙ্গে বাস বা অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন বাইক আরোহীরা। বুয়েটের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আর ১৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য। কথায় আছে দু’চাকায় ভরসা নেই! কথাটা অমূলক নয়। রোমাঞ্চকর বাইক ভ্রমণ কখনো কখনো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য হেলমেট পরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রায় সব দেশেই মোরটসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। কারণ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে হেলমেট অনেকটা রক্ষাকবচের কাজ করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলেও অনেকে হেলমেট না পরেই মোটরসাইকেল চালান।

কিন্তু এবার হেলমেট শুধু প্রাথমিকভাবে আরোহীকে রক্ষাই করবে না, দুর্ঘটনায় পড়লে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। নিজে থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে আনতে পারে এটি।

পাকিস্তানে তৈরি হয়েছে এই স্মার্ট হেলমেট। দেখতে সাধারণ হেলমেটের মতোই। পোশাকি নাম হেলি। তবে আর পাঁচটা হেলমেটের থেকে অনেক বেশি কাজ করে এটি। কারণ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়ে এটি। যারা নতুন মোটরবাইক চালাচ্ছেন, তাদের জন্য এই স্মার্ট হেলমেট আদর্শ।

এতে রয়েছে স্পিকার, মাইক্রোফোন, ব্লুটুথ রিসিভার, জিপিএস ট্র্যাকার এবং একটি হার্ট রেট মনিটরও রয়েছে। অর্থাৎ ফোন এলে আলাদা করে কানে যেমন মোবাইল ধরার প্রয়োজন নেই, তেমনই রাস্তা হারিয়ে ফেলার সমস্যাও নেই। এখানেই শেষ নয়, হেলমেটের মাথায় লাগানো রয়েছে একটি ক্যামেরা এবং দুটি ইনডিকেটর। মানে এ হেলমেট মাথায় চাপালে রাস্তার দিক পরিবর্তনের সময় আলাদা করে ইনডিকেটর অন করারও দরকার হবে না। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় পড়লে হেলির এসওএস মোডের মাধ্যমে সরাসরি ফোন চলে যাবে পরিবার এবং অ্যাম্বুলেন্সে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। তারা এতে উদ্ধার কাজে অংশ নেবে। তবে যদি মনে করেন এই হেলমেটের জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন, তাহলে ভুল ভাবছেন।

২০১৩ সালে এমনই এক স্মার্ট হেলমেট বাজারে এসেছিল। তবে তার মূল্য ছিল এক হাজার ডলার। কিন্তু মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিময়েই হেলি মাথায় তুলতে পারবেন আরোহীরা। এক হেলমেটে এত গুণের কথা ভাবতে অবাক লাগতেই পারে। কিন্তু তার কীর্তি যে বাইক সফরকে আরও মসৃণ ও সুরক্ষিত রাখবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত