এনায়েত হোসেন সোহেল,প্যারিস, ফ্রান্স থেকে

০৪ মার্চ, ২০১৬ ১১:১৬

ইউনেস্কোতে ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য’ অনুষ্ঠান

বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে যারা দিয়েছিল রক্ত, রক্তের বিনিময়ে যারা এনেছিল বাংলা ভাষা, পেয়েছিলো মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি সেই সকল ভাষা শহীদদের স্মরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনেস্কোতে পালিত হলো ‘ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য’ অনুষ্ঠান।

২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষিত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করে আসছে ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

বাংলাদেশ ছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেয় চীন, ভারত, ইরান, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লিথুনিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব,শ্রীলংকা,থাইল্যান্ড ও তুরস্কের দূতাবাস প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদগণ ।

বাংলাদেশ দূতাবাস ফ্রান্সের কাউন্সিলর ফারহানা আহমদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, ইউনেস্কোর সহকারি ডিরেক্টর জেনারেল এরিক ফল্ট, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, ভারতের প্রতিনিধি ড. বিবেক দেব রায়, ইরানের রাষ্ট্রদূত আহমেদ জালালী, গ্রিসের রাষ্ট্রদূত জর্জেস ভাইস।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,পৃথিবীর আপামর মানুষ মনে করে একুশের এই ঐক্য এবং শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের সব স্তরে মত পার্থক্য ভুলে ফিরে আসবে ঐক্য এবং একতা।

সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর সৈয়দ সামসুল হকের কবিতা আবৃত্তি দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফকির সাহাবুদ্দিন।

নৃত্য পরিবেশন করেন রাসেল আগ্নেস পের্রিস, চীনের শিল্পী হ্যাং, লিথুনিয়ার শিল্পী ভিক্টোরিয়া গেশিত, সৌদি আরবের শিল্পী মোহাম্মদ তালাল, ইন্দোনেশিয়ার সামান গ্রুপ ও তুর্কির শিল্পীরা। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত