সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৭ মার্চ, ২০১৬ ১২:১৬

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিলীন হবার নয় : সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাশ  গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক জনাব এম এ গনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণ বিলীন হবার নয় বরং আগামীতেও যুগের পর যুগ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়ে যাবে ইতিমধ্যে অমরত্বের স্থান দখল করা ভাষণটি।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আজ থেকে ৪৪ বছর আগে অগ্নিঝরা একাত্তরের এইদিনে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা এবং বঙ্গবন্ধু আজ কি বলবেন বা স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন কিনা, তা জানতে সব শ্রেণী পেশার সংগ্রামী মানুষের ঢল নেমেছিল সেদিনের রেসকোর্স ময়দান বা আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এইদিনে 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম' - বঙ্গবন্ধুর এই তেজদীপ্ত ঘোষণাই ছিলো বাঙালীর প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের দমন পীড়ন এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ অধিকার আদায়ের আন্দোলন, সংগ্রাম থেকে সরাসরি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর দেয়া এই ২২ মিনিটের ভাষণটি পৃথিবীর অন্যতম আবেদনময় এবং শক্তিমান ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই বেজে চলেছে কিন্তু ভাষণটির আবেদন একটুও কমেনি, আজও একই রকম শিহরন জাগায়, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। পৃথিবীর আর কোন ভাষণ এত দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের অন্তরে স্থান করে নিতে পেরেছে বলে জানা নেই। এই ঐতিহাসিক ভাষণ বিলীন হবার নয় বরং আগামীতেও যুগের পর যুগ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়ে যাবে ইতিমধ্যে অমরত্বের স্থান দখল করা ভাষণটি।

বঙ্গবন্ধু, ৭ই মার্চের ভাষণ, বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। ভাষণটি একটি জাতির জন্মের ইতিহাসের অংশ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অংশ।

আগামী দিনে জাতির জনকের যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত