০২ মে, ২০১৬ ২৩:১২
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব টেনেসির বাংলাদেশের পিএইচডির ছাত্ররা বাংলাদেশে সংঘটিত সাম্প্রতিক ব্লগার ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে আমেরিকার তরুণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা মনে করেন মত প্রকাশের কারণে কুপিয়ে মানুষ হত্যা কেবল অমানবিকই নয়, বর্বরোচিতও। বিগত এক বছরের ভিতরে প্রায় দশ জনের মত ব্লগার, মুক্তচিন্তক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে একটা জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করছে। এ কারণে আমেরিকার শিক্ষার্থীরাও এ মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন।
তারা মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখা গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত।
সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি অধ্যয়নরত নিখিল নীল মনে করেন, সাম্প্রতিক এলজিবিটি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা হত্যার সংস্কৃতিতে একটা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। মানুষের যৌন পরিচয়ে ব্যক্তির নিজস্ব চয়েস, আর একজন মানুষের লিঙ্গ পরিচয়ই তার একমাত্র পরিচয় নয়, অথচ এ কারণেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আর সরকারের নির্লিপ্ততা এবং উদাসীনতা বাংলাদেশ সেক্যুলার মানুষ হত্যার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, যা সংস্কৃতিমনা ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটা ভয়ের সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডের শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারের এখন প্রথম কাজ হওয়া উচিত, না হলে তার অনেক চড়া মূল্য দিতে হবে।
এ মানববন্ধন মূলত আয়োজন করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব টেনেসির বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী।
ছবি : মনির
আপনার মন্তব্য