শাবি প্রতিনিধি

২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:১২

শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি : শাবি ভিসি

করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল বন্ধ রেখে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এতে আবাসন সংকট, দুই সেমিস্টারের পরীক্ষার ফি একত্রে পরিশোধ সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।

২৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সিলেটটুডের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় প্রশাসনের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।

এর মধ্য আবাসন সংকটের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে আমরা হল খুলে দিতে পারছি না। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছি। যদি কোন বিভাগ এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফি মওকুফের ক্ষেত্রে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের টিউশন, পরিবহণ ফি ও হলের আবাসন ফি পরিপূর্ণভাবে মওকুফ করে দেয়া হয়েছে যা দেশের খুব কম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে। এছাড়া কোন ধরণের ফি না দিয়েই বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবে এবং অন্যান্য ফিগুলো নিজেদের সুবিধামত সময়ে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোন জরিমানা দিতে হবে না।

এদিকে রিভিউ ক্লাসের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে আমরা সকল বিভাগকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে রিভিউ ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি সংখ্যা, পরীক্ষায় নাম্বার দেয়া এবং প্রতিটি পরীক্ষার আগে যেন উপযুক্ত গ্যাপ দেয়া হয় সে ব্যাপারে মানবিক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধানদের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে বসে পরামর্শের ভিত্তিতে এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা সময় কমিয়ে দিয়েছি। দুই ঘন্টার পরীক্ষায় যতগুলা প্রশ্নরে উত্তর করা যাবে সেই অনুসারেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে বাড়তি চাপ না নিয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার আহবান করছি। এছাড়া অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষাগুলো পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে। পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো চলবে বলেও জানান উপাচার্য।

সর্বোপরি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। করোনার সময় আমরা অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস করার জন্য মোবাইল ডাটা ও মোবাইল কেনার জন্য ঋণ সুবিধাও দিয়েছি। আমরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করি তা দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তা করে না। পাশাপাশি তিনি শাবিপ্রবির শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত