শাবি প্রতিনিধি

২৮ নভেম্বর, ২০১৫ ২২:৩১

শাবিতে শেষ হল সিএসই কার্নিভাল: প্রোগ্রামিংয়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাবির ‘এসি ড্রাগন’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দিন ব্যাপী প্রযুক্তি উৎসব ‘আইপিভিশন সিএসই কার্নিভাল ২০১৫’ শেষ হয়েছে। ২৭ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ‘এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে’ এ  কার্নিভালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ পঞ্চম বারের মত উৎসবের আয়োজন করে। এবারের উৎসবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত টানা ২৪ ঘণ্টা সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা ছিল।

উৎসবের চারটি ইভেন্টে মধ্যে ছিল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট শো-কেসিং এবং গেমিং কন্টেস্ট এতে দেশের ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১১টি দল এখানে মুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ টি দল, প্রজেক্ট শো-কেসিংয়ে ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩ টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

কার্নিভালে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাবির ‘এসি ড্রাগন’, প্রথম রানার্স-আপ হয় শাবির ‘ডাউন টু দ্যা ওয়্যার’ এবং দ্বিতীয় রানার্স-আপ হয় বুয়েটের ‘আরটিলিয়াস’।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাবি ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ছাত্রকল্যাণ উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. রাশেদ তালুকদার, প্রফেসর শহিদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, সিইও-আইপি ভিশন রাকিবুল হাসান, সিইও-শিওরক্যাশ ড. শাহাদাত খান, সিইও-এক্সটেন আশরাফ হোসাইন প্রমুখ।

সমাপনি বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শাবির বিভিন্ন উদ্ভাবনের প্রশংসা করে শাবিতে একটি বিশেষায়িত ল্যাবের জন্য প্রাথমিকভাবে চল্লিশ লক্ষ টাকা অনুদান এবং দেশের সর্বপ্রথম ইনকিউভেশন সেন্টার স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, "বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্বকে দেখাতে চাই আমরা শ্রমিক জাতি নই। আমরা একটি মেধাবী ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি। তাই আমাদেরকে আরও দক্ষভাবে গড়ে উঠতে হবে।"

 তিনি বলেন "দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগই তরুণ। তরুণদের কাজে লাগিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পন্ন মেধা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তাই সরকার তথ্য বিপ্লবের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় যথাসম্ভব সবকিছু করছে। আমাদের দেশের তরুণরাই গড়বে দেশ, ডিজিটাল হবে বাংলাদেশ। দেশের একসময় ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা অনকে কম ছিল। আজ তা সাড়ে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশনকে আরও উন্নত করতে হবে।নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে হবে।"

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন "বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একসময়ে বাংলাদেশ নিজেই তথ্য-প্রযুক্তির মডেল হবে। আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে চাই। আর এটা করা হবে তথ্য-প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে। তারুণ্যের বিজয়ের পথ ধরে এ দেশ এগিয়ে যাবে।"

পুরষ্কার বিতরণী শেষে শাবির সিএসই সোসাইটির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্ট-এর আয়োজন করা হয়।
উল্ল্যখ্য শাবির সিএসই সোসাইটির সহযোগিতায় দু’দিন ব্যাপী এ আয়োজনে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল কানাডা ভিত্তিক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আইপিভিশন কানাডা ইনকর্পোরেশন এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে যুগান্তর, বিডিনিউজ২৪ এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত