রাবি প্রতিনিধি

৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:৫৬

‘প্রযুক্তি দিয়ে সুন্দরবন রক্ষার যুক্তি হাস্যকর’

‘আজ বুড়িগঙ্গার পানি কালো কুচকুচে, নোংরা। পানি স্পর্শ করলেই মনে হয় শরীরে ঘা হয়ে যাবে। যে সরকার ঢাকার পাশ দিয়ে যাওয়া এ বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে পারে না, ফারাক্কা-তিস্তা নিয়ে কথা বলতে পারে না, তারা কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করবে। সরকারের এমন যুক্তি হাস্যকর।’

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন চুক্তি বাতিলের দাবিতে এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি কিংশুক কিঞ্জল এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আম চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

কিংশুক কিঞ্জল আরও বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে দেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু বর্তমান সরকার কিছুই বলেন না। ভারতের কোনো চুক্তি বা কর্মকাণ্ডেরই কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না বর্তমান সরকারকে।’

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে কিংশুক কিঞ্জল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যেসব কথা বলেছেন তা ভিত্তিহীন। সেগুলোর আমরা যুক্তি খণ্ডন করেছি। তাই আমরা বর্তমান সরকারকে উন্মুক্ত আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেননি।’

সমাবেশ রাবির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধী নই, তবে সেটা রামপালে নয় অন্য কোথাও করতে হবে। যেন সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি না হয়।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, রাবি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার সুজন।

সমাবেশের আগে গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদী র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মিনহাজুল আবেদীন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি প্রদীপ মার্ডি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ সভাপতি তাসনুভা তাহরীন অন্তরা, ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক তমাশ্রী দাস, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ।

এসময় সমাবেশে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন রাবি সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত