রাবি প্রতিনিধি

২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১৭:৩২

‘বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস তৈরির কারখানা নয়, মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান’

‘বর্তমানে রাকসুতে প্রতিনিধিত্ব নেই, শিক্ষা-গবেষণায় বরাদ্দ নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দেওয়া হচ্ছে পাঠক ফোরামের মতো বিসিএস ও কোচিং সেন্টারধর্মী সংগঠনকে। আমরা মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কোচিং সেন্টার নয়, এটা বিসিএস তৈরির কারখানা নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা-গবেষণায় মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান।’

অর্থমন্ত্রীর উচ্চ শিক্ষাখাতে ব্যয়ভার পাঁচগুণ বৃদ্ধির ঘোষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০ বছর মেয়াদী ‘কৌশলপত্র’ বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোহরাব হোসেন এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় টেন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে বেতন ফি, ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোর্স চালু করার মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হচ্ছে। গত ৩০ মার্চ অর্থমন্ত্রী উচ্চ শিক্ষার ব্যয়ভার পাঁচগুণ বৃদ্ধি বিচ্ছিন্ন কোন ঘোষণা নয়। এই ঘোষণা সত্যিকার অর্থে উচ্চ শিক্ষা ধ্বংসের জন্য বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ইউজিসি ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্রেরই অংশ।’

সমাবেশে সংগঠনটির রাবি শাখার সভাপতি লিটন দাস বলেন, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়। এটা মৌলিক অধিকার। কিন্তু রাষ্ট্র এটাকে অধিকার হিসেবে না দেখে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে দেখে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে দেখা। অর্থমন্ত্রী ছাত্র সমাজের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন শিক্ষা ব্যয় পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হবে দেখি কী হয়। এটা খুবই অযৌক্তিক ঘোষণা।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন প্রধান তারেকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দফতর সম্পাদক রিফাত আরা সালমা সুমি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহতাসীম রাফিদ খান তূর্য প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত