সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জুন, ২০১৭ ১৫:০১

এমসি কলেজের হোস্টেল পোড়ানোর মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেল পোড়ানোর মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৩১ মে এ আদেশ দেয়া হয়। তবে আদেশের নথি প্রকাশ করা হয় গত সোমবার। বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যাপারে আগামী ২০ জুন সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সারাবন তহুরা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এর আগে এ মামলায় আরও দুই দফা তদন্ত হয়। ওই তদন্তেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।

২০১২ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর জ্বালিয়ে দেয়া হয় শত বছরের পুরনো মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের হোস্টেল। এ ঘটনায় ছাত্রাবাসের হল সুপার বশির আহমদ বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন এসএমপির শাহপরান থানার ওসি এনামুল মনোয়ার। পরে যৌথভাবে তদারকি করেন এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আমিনুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার শংকর কুমার দাস। এরপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসএমপির শাহপরান থানার পরবর্তী ওসি মো. লিয়াকত আলী।

তদন্ত চলাকালে আরও দুটি মামলা হয় আদালতে। এ দুটি মামলাও হোস্টেল সুপার বশির আহমদের দায়ের করা মামলার সঙ্গে নথিভুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।

কিন্তু আদালত এ প্রতিবেদন গ্রহণ না করে আবার তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট ফের প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি। ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল পিবিআই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়; যার ওপর শুনানি হয় ৩১ মে।

এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ঘটনা ঘটলে অবশ্যই কেউ না কেউ দায়ী থাকে। কিন্তু তদন্ত কাজে প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। কোনো সাক্ষী কারও নাম বলতে পারেনি। বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কয়েক দফা। কিন্তু বাদীও কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্যই নেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো বক্তব্যেই কারও নাম উঠে আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর

আপনার মন্তব্য

আলোচিত