সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৮:৩৯

শাবিপ্রবিতে ভর্তিতে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য ৫% কোটা দাবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চা শ্রমিক সন্তানদের ৫ শতাংশ কোটা দাবিতে উপাচার্য বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগে ১৫৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব চা বাগানের নিরীহ শ্রমিক জনগোষ্ঠী সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শোষিত হয়ে আসছে। বাগান কর্তৃপক্ষ মুনাফা অর্জন করলেও শ্রমিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা করলেও চা বাগানের শ্রমিকরা বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী হিসেবেই আছে। চা বাগানের শ্রমিকরা ৮৫ টাকা মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে, যা দুই কেজি চাল কেনারও মূল্য নয়, মৌলিক চাহিদা পূরণতো স্বপ্ন। এই আয়ের বিপরীতে চলে ৪/৫ জন চা শ্রমিকের সংসার।

এ অবস্থায় একজন শ্রমিকের সন্তান কি করে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারে? প্রশ্ন রেখে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার হয়তো নিজ স্বার্থে তাদের ভোটাধিকার দিয়েছে, কিন্তু অধিকার দেয়নি। অন্যের জমিতে বসবাসকারী পরাধীন জাতি চা শ্রমিকরা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিজ সন্তানদের ভর্তির স্বপ্ন দেখা অবাস্তব।

এছাড়া চা বাগানের মালিক সমিতি কখনোই চায় না শ্রমিক সন্তানেরা ন্যূনতম শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। বর্তমানে সভ্য সমাজের ছোঁয়ায় চা শ্রমিকদের সন্তানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে কিঞ্চিৎমাত্র এগিয়ে আসছে। বাকিরা সুশিক্ষার অভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে। অথচ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরণের কোটা থাকলেও চা শ্রমিকদের সন্তানরা ভর্তির স্বপ্ন দেখতে পারছে না। ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের পথ মসৃণ করতে, স্বপ্ন বাস্তবায়নে শাবিপ্রবিতে পৃথক কোটা পদ্ধতি চালুর দাবি জানাচ্ছি।

স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী, সিনিয়র সহ সভাপতি বরুন সিং ছত্রী, প্রচার সম্পাদক জগন্নাথ রায় রাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিক্রম রায়, অপু গোয়ালা, রঞ্জন নায়েক, সুজন লোহার, পিয়াস দাস, রাজেন্দ্র গঞ্জু এবং মৃদুল রায় ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত